ঘরে ঘরে চাকরি, অবশেষে কর্মসংস্থানে দরাজ মমতা!

কলকাতা: রাজনৈতিক সভা কিংবা প্রশাসনিক বৈঠক৷ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে৷ এক কোটির কাছাকাছি কর্মসংস্থান হয়েছে৷ বাংলার কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্টিফিকেট দিলেও বুধবার নিজেই মেনে নিলেন বাংলার প্রতিটি ঘরে চাকরির প্রয়োজন আছে! মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘এখনও আমি জানি, ঘরে ঘরে চাকরির নিশ্চয়ই প্রয়োজন

ঘরে ঘরে চাকরি, অবশেষে কর্মসংস্থানে দরাজ মমতা!

কলকাতা: রাজনৈতিক সভা কিংবা প্রশাসনিক বৈঠক৷ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে৷ এক কোটির কাছাকাছি কর্মসংস্থান হয়েছে৷ বাংলার কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্টিফিকেট দিলেও বুধবার নিজেই মেনে নিলেন বাংলার প্রতিটি ঘরে চাকরির প্রয়োজন আছে!

মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘এখনও আমি জানি, ঘরে ঘরে চাকরির নিশ্চয়ই প্রয়োজন আছে৷ কিন্তু, আমরা চেষ্টা করেছি৷ সারা ভারতবর্ষে ৪৫ বছরে সব থেকে বেশি বেকারির সংখ্যা এখন৷ বাংলায় একমাত্র জায়গা, আমরা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি এই আট বছরে৷ আগামী দিনে আরও করব৷ দেখবেন, লেদার হাব হচ্ছে বানতলায়৷ সেখানে ৫ লক্ষ ছেলে মেয়ের চাকরি হবে৷ একটু নজর রাখবেন, চাকরিটা হচ্ছে৷ দু’লক্ষ ছেলেমেয়েকে হাওড়ায় এমএসএমইতে চাররি হচ্ছে৷ এইরকম ভাবে রাজ্য সরকারের শূন্যপদও পূরণ করা হবে৷’’

সরকারি কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘বাংলায় একমাত্র জায়গা যেখানে পেনশন সরকারি কর্মচারীরা এখনও পান৷ সব রাজ্য বন্ধ করে দিয়েছে৷ সব রাজ্য সরকারি পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে৷ ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার এসে ওটা উঠিয়ে দিয়েছে৷ একমাত্র বাংলায় পেনশন আছে৷ আর কোথাও নেই৷ পেনশনটা তুলে দিলে আমার আমার অনেক টাকা ঋণ শোধ করতে কমে যাবে৷ কিন্তু তা সত্বেও মানবিকতার খাতিরে আমরা করিনি৷’’

বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি বলছে ওঁরা বাংলা দখল করবে৷ কিন্তু বুঝুন, ওঁরা বাংলা রাজ্যের নামটাই পরিবর্তন করতে দিচ্ছে না৷ চারবার করে পাঠানো হয়েছে৷ বাংলা নামে ভীষণ এলার্জি৷ কেন এলার্জি বলুন তো? বাংলাকে ওরা সহ্য করতে পারে না৷ ওঁরা অনেক সময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, বাংলার মেরুদণ্ডকে কীভাবে ভেঙে দিতে হয় তা আমরা জানি৷ আর আমরা ওঁদের বলি, চেষ্টা করে দেখো৷ বাংলার মানুষের মেরুদণ্ড ভাঙার আগে তোমাদের মেরুদণ্ডটা আগে কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখ৷ তারপর ভাঙতে এসো৷’’

বেকাকত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রী যখন দাবি করেন, বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে৷ বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমেছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে বলছেন, বাংলার প্রতিটি ঘরেই চাকরির প্রয়োজন রয়েছে! তাহলে কোনটা সঠিক? ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমে যাওয়া? নাকি প্রতিটা ঘরে চাকরির প্রয়োজন আছে সেটা? তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী অবশেষে নেমে নিলেন, ঘরে ঘরে চাকরি প্রয়োজন? এমন প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *