নয়াদিল্লি: করোনার পরিস্থিতিতে বড়সড় ধাক্কা এসেছে অর্থনীতির উপর৷ কাজ হারিয়ে বেকার বহু মানুষ৷ শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ১৮ শতাংশ৷ যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ৷ অন্যদিকে আমাদের রাজ্যে বেকারত্বের হার ১৯.৩ শতাংশ৷
আরও পড়ুন- টিকাকরণে গতি আনতে শীঘ্রই ভারতে আসছে ফাইজার-মডার্না
জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ছিল ৫.২ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৬.২, মার্চে ৭.৫ শতাংশ এবং এপ্রিলে ৭.৬ শতাংশ৷ গত বছর এপ্রিল মাসে বাংলায় বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ৷ এদিকে ৩০ মে সারা দেশে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ১৭.৮৮ শতাংশ৷ ১৫ দিন আগেও যা ছিল ৩ শতাংশ কম ১৫ দিন আগে দেশের শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ১৪.৭১ শতাংশ৷ এমনই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র পরিসংখ্যানে৷ অন্যদিকে শহরাঞ্চলে শ্রমিকদের কাজে অংশগ্রহণের হারও (LFPR) হ্রাস পেয়েছে৷ CMIE-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৬ মে সপ্তাহান্তে FPR হ্রাস পেয়েছিল ৩৭ শতাংশ৷ ৩০ মে সপ্তাহান্তে যা হ্রাস পেয়েছে ৩৫.৬৯ শতাংশ৷
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় অনেকটাই সস্তা হল গ্যাসের দর, কলকাতায় কত? জেনে নিন
বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শহরাঞ্চলে কর্মহীনতার সঙ্গে সরাসরি লকডাউন ও অর্থনীতির যোগ রয়েছে৷ তার উপর গ্রামাঞ্চলের মতো শহরের শ্রমিকদের জন্য কোনও ন্যাশনাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্প নেই৷ গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষই পারিবারিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে৷ এর ফলে বেকারত্ব ও উৎপাদনশীলতা প্রচ্ছন্ন থাকে৷ অর্থনীতিবিদ কেআর শ্যাম সুন্দর বলেন, ‘‘শহরাঞ্চলে বেকারত্ব তিন থেকে ছয় মাস উচ্চ পর্যায়ে থাকবে৷ এর পিছনে তিনটি কারণ রয়েছ৷ কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব, কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের দ্বিধা ও শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকির সম্ভাবনা৷’’ তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্ত ও সহযোগী ক্ষেত্রগুলি ছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত৷