প্রতিশ্রুতি পুরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, ১০০ দিন আন্দোলন পার চাকরিপ্রার্থীদের

প্রতিশ্রুতি পুরণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী, ১০০ দিন আন্দোলন পার চাকরিপ্রার্থীদের

কলকাতা: গেজেট মেনে নিয়োগ না করা এবং পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম আকস্মিকভাবে মেধা তালিকার মধ্যে এসে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯ দিন যাবৎ অনশন চালিয়ে ছিল যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে নবম থেকে দ্বাদশের প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, মেরিট প্যানেলভুক্ত সকলকেই তিনি ন্যায় পাইয়ে দেবেন। কিন্তু দু’বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও তেমন কিছু ঘটেনি উলটে দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর একে একে অনেক আন্দোলন দেখেছে শহর। কখনও কালীঘাট কখনো শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কিন্তু তাতেও ফল না মেলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ। আজ তার ১০০ দিন পূর্ণ হল।

আরও পড়ুন- টেট পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখাক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, নির্দেশ হাই কোর্টের

একাধিক ব্যানার এবং পোস্টার নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীরা। আওয়াজ তোলা হয়েছে যে, দুর্নীতির কারণ বঞ্চিত নবম-দ্বাদশ মেধা তালিকাভুক্ত সকল শিক্ষক পদপ্রার্থীদের নিয়োগ চাইছে তারা। একই সঙ্গে দাবি তোলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন প্রেস ক্লাবের সামনে তা যেন তিনি পুরণ করেন। ২৯ দিন ধরে যে আন্দোলন চলছিল সেই সময় তা সেই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর উঠে যায়। কিন্তু বছর ২ অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। তাই এই আন্দোলন পরবর্তী ক্ষেত্রে আরও বড় আকার নিতে পারে বলে এখন থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের তরফে। আপাতত তারা গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আন্দোলন আরও দীর্ঘতর হবে বলেই এখন ধারণা করা হচ্ছে।

আগেই রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত ৩০৬ দিন অনশনরত মেধাতালিকাভুক্ত ছেলেমেয়েদের কোনো সুরাহা হয়নি বলে দাবি তোলা হয়েছে। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপে আছে রাজ্য। একাধিক প্রশ্ন তুলে বঞ্চিতদের সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পুনরায় হস্তক্ষেপ চান ৩০৬ দিন ধরে আন্দোলনকারী বঞ্চিত হবু শিক্ষকরা। তাদের বক্তব্য ছিল, স্কুলগুলি শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এদিকে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − thirteen =