কলকাতা: বড়দিনেও বিষাদের সুর। নিয়োগের অপেক্ষায় রাস্তার ধুলো মেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা৷ চাকরির দাবিতে ২৮২ দিন ধরে তাঁরা পড়ে রয়েছেন অনশন মঞ্চে। সমস্যা সমাধানে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- টেট মামলায় আদালতে ভুল শিকার পর্ষদের, গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়
২০১৯ সালে প্রেস ক্লাবের সামনে নবম-দ্বাদশ স্তরের বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হয়ে তিনি বলেছিলেন, মেধাতালিকাভুক্ত সকল প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হবে। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন৷ কিন্তু আজও মেধাতালিকাভুক্ত চাকরী প্রার্থীর নিয়োগ পাননি৷ ২৮২ দিন ধরে তাঁরা রাস্তায় পড়ে রয়েছে৷ কেন আত্মঘাতী হতে হচ্ছে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীদের? কেনো কৃষক মেহেনতি মজদুর সমাজের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় পাশ করেও দুর্নীতির শিকার হয়ে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে? কেন দুর্নীতির বলি হতে হয় মেধাকে? প্রশ্ন তুলেছেন প্রর্থীরা৷
বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত আন্দোলনকারী এমডি রাকিব হোসেন ও মুদাসির হোসেন বলেন, ‘‘আজ স্কুলগুলো শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এদিকে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছে তাঁদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে। শীত, ঝড়, মহামারীর প্রচণ্ডতাকে উপেক্ষা করে তাঁদের দিন কাটে রাস্তায়। ন্যায্য চাকরির দাবিতে মেয়েদের রাত কাটে অনশন মঞ্চে।’’ তাঁদের বক্তব্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ আইন দেখাচ্ছে৷ কিন্তু কোন আইনে নিজেদের গেজেট লঙ্ঘন করে নম্বর ছাড়া মেধাতালিকা প্রকাশ করল? কোন আইনে নিজের গেজেটে উল্লেখিত ১:১.৪ নিয়ম না মেনে নিয়োগ করা হল? কোন আইনে মেধাতালিকায় পেছনের সারিতে থাকা প্রার্থীকে আগে নিয়োগ দেওয়া হল? কোন আইনে গেজেট লঙ্ঘন করে এসএমএসে অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হল? কোন আইনে অকৃতকার্য প্রার্থীরা চাকরি পায় আর কোন আইনে মেধাতালিকাভুক্ত প্রথম দফায় ডাক পেয়েও বঞ্চনার শিকার হয়? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা৷
বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের দাবি, নিজেদের গেজেটকে মান্যতা দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন রেশিও মেনে ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগ করুক৷ আইনি পথে মেধাতালিকাভুক্ত সকলের চাকরি সুনিশ্চিত করুক। তাহলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।