নয়াদিল্লি: কয়েক সপ্তাহ বা মাস খানেক আগেই কলেজ ক্যাম্পাসে একাধিক লোভনীয় চাকরির অফার হাতে পেয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এর ছাত্রছাত্রীরা৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে সেই ছাত্রছাত্রীরাই এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়য়ে৷
ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ কোম্পানিই চাকরির প্রতিশ্রুতি রাখার আশ্বাস দিয়েছে৷ ভারতে থেকেই বিদেশি চাকরির সুবিধা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে৷ কিন্তু বাধ সাধছে লকডাউন৷ লকডাউন পর্ব আরও দীর্ঘায়িত হলে সমস্যা আরও বাড়বে৷ প্রথম সারির আইআইটি এবং আইআইএম প্লেসমেন্ট সেলের আশঙ্কা, পরিস্থিতির জেরে পিছিয়ে যেতে পারে চাকরিতে যোগদানের তারিখ৷ কমানো হতে পারে বেতন৷ এমনকী খুব খারাপ হলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে চাকরির অফার৷
গত সপ্তাহের শুরু দিকেই আমেরিকার একটি সংস্থা ১১ জন আইআইটি পড়ুয়ার চাকরির সুযোগ বাতিল করেছে৷ আইআইএম কলকাতায় বাতিল হয়েছে ৬ জনের নিশ্চিত চাকরির সুযোগ। দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়েছে স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বিদেশি সংস্থাগুলির এমন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত আইআইটি, আইআইএম-এর কর্তৃপক্ষের।
তবে বেঙ্গালুরু, কোজিকোডে, আহমেদাবাদ এবং ইন্দোর আইআইএম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোম্পানিগুলি জানিয়েছে চাকরির অফার ফেরানো হবে না৷ বেশ কিছু কোম্পানি আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করার কথা ভাবছে৷ তবে কিছু কোম্পানি আবার চাকরির অফার ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে৷ যে সকল পড়ুয়ার চাকরির অফার ফিরিয়ে নেওয়া হবে তাঁদের জন্য বিশেষ প্লেসমেন্টের কথাও বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে আইআইএম কোজিকোডে৷
ইতিমধ্যেই আইআইটির প্লেসমেন্ট কমিটি এই বিষয়টি নিয়ে সমস্ত সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছে। ২০১৯-২০২০ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ যাতে প্রত্যাখ্যান করা না হয়, সেই আর্জিও জানান হয়েছে। শুক্রবার আইআইটি দিল্লির ডিরেক্টর রামগোপাল রাও সমস্ত রিক্রুটার্সদের কাছে একটি সার্বজনীন আর্জিও জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ তবে দয়া করে আপনারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। কয়েক মাস দেরি হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে দেবেন না।’’