নয়াদিল্লি: আপনার মূল বেতন কি ১৫,০০০ টাকার কম? তাহলে খুব শীঘ্রই বিপাকে পড়তে চলেছে আপনি! কেননা, খুব দ্রুত কমতে চলেছে ‘টেক হোম পে’৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি নবীন সিনহার বেঞ্চ ইপিএফ সংক্রান্ত একটি মামলায় জানিয়েছেন, ইপিএফের অনুদান কাটার জন্য মূল বেতনের সঙ্গে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বাদে অন্য যে সমস্ত অ্যালাওয়েন্স নিয়মিত দেওয়া হয়, তার হিসাব দিতে হবে৷ কনভেয়েন্স অ্যালাওয়েন্স, মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স বা অন্য কোনও স্পেশ্যাল অ্যালাওয়েন্সের বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বহু সংস্থা ইপিএফ খাতে কম অনুদান দেওয়ার জন্য কর্মীদের মূল বেতন কম রেখে বিভিন্ন ধরনের অ্যালাওয়েন্স দেয়৷ কিন্তু, এখন সমস্ত ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে তার উপর কর্মীর ইপিএফ অনুদানের হিসাব করতে হবে৷ এই নির্যকর হলে বেতন থেকে বেশি টাকা ইপিএফের খাতায় জমা পড়বে৷ ফলে, বেতন কিছুটা কম হাতে এলেও ভবিষতের জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে৷
এই মুহূর্তে ইপিএফে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ টাকা বেতন পর্যন্ত ১২ শতাংশ হারে কর্মীর অনুদান কাটা হয়৷ নিয়োগকর্তাকেও কর্মীর সমান অনুদান দিতে হয়৷ নিয়োগকর্তার অনুদানের ৮.৩৩ শতাংশ জমা পড়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীর এমপ্লয়িজ পেনশনের খাতায়৷ বাকি ৩.৬৭ শতাংশ জমা পড়ে কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্টে৷ তবে, ৫,০০০ টাকার বেশি বেতন হলে সুপ্রিম কোর্টের রায় এই শ্রেণির কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রযোজ্য হবে না৷
প্রভিডেন্ট ফান্ডের অনুদান কাটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের প্রভাব পড়বে চাকুরিজীবীদের ‘টেক হোম পে’র উপর৷ কেননা, বেতনের একটা বড় অংশের উপর এ বার কর্মীদের ইপিএফের অনুদান দিতে হবে৷ ফলে, মাসের শেষে হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমবে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে কর্মীদের বিশেষ করে যাঁদের বেসিক স্যালারি ১৫,০০০ টাকার কম, অবসরকালীন তহবিল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় ও সেই বাবদ সুদ আয়ের পরিমাণ বাড়লেও কম বেতনের কর্মীদের হাতে খরচ করার মতো আয়ের পরিমাণ কমবে৷