কলকাতা: সোমবার সরস্বতী পুজোর ছুটি ঘিরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়াল সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে৷ বিশেষ করে স্কুলগুলিতে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি৷ আদৌ সোমবার ছুটি কি না তা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু, কেন এই বিভ্রান্তি?
পুজো-পার্বণ শনি বা রবিবার পড়লে সপ্তাহে যেকোনও দিন সেই ছুটি পাওয়া যাবে বলে আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল নবান্ন৷ ফলে, চলতি বছরে ছুটি তালিকা বেশ কিছুটা পরিবর্তন আগেই এনেছে নবান্ন৷ ২০১৯-এ দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে ৫ অক্টোবর, শনিবার। অষ্টমী পড়েছে রবিবার। সেই কারণে সরকার ১০ এবং ১১ অক্টোবর দু’টি বাড়তি ছুটি দিয়েছে। একই ভাবে রবিবার ১৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো পড়ায় ছুটি পাওয়া যাবে ১৪ অক্টোবর। কালীপুজোও এ বার রবিবার। তাই সোমবার ২৮ অক্টোবর মিলবে আরও একটি ছুটি। ভাইফোঁটার জন্যও ৩০ অক্টোবর বাড়তি ছুটি মিলবে৷
কিন্তু, এই বাড়তি ছুটির তালিকা মেলাতে গিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত ছুটির তালিকাই সরস্বতী পুজোর জন্য কোনও দিন ধার্য করা হয়নি৷ সরস্বতী পুজোরকে ছুটির তালিকা থেকে বাইরে রেখেই বছরে ৬২ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷ ফলে, সরস্বতী পুজোর জন্য স্কুলে ছুটি ঘোষণা হলে বছরে ছুটির তালিকা আরও দীর্ঘ হবে৷ বছরে ৬৫ দিনের বেশি কোনও ভাবেই ছুটি বাড়ানো যাবে না বলেই আগেই জারি রয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷ ফলে, সোমবার স্কুলে ছুটি ঘোষণা নিয়ে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়ছেন সরকারি কর্মদের একাংশ৷ প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারি দফতরে সোমবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হলেও স্কুল গুলির ক্ষেত্রে স্পষ্ট ধারনা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা । দাবি উঠছে, যেহেতু স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে ফলে শিক্ষা দফতর ছুটি নিয়ে স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করুক।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ছুটির যে স্যাম্পেল লিস্ট বের করেছে সেখানে সোমবার অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি কোন ছুটি নেই৷ এখন কোন স্কুল চাইলে সোমবার ছুটি দিতেই পারেন কিন্তু সেক্ষেত্রে ছুটি ৬৫’র মধ্যে কাউন্ট হবে৷ সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অর্থ দপ্তর ১১ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করলেও শিক্ষা দপ্তর এমন কোন অতিরিক্ত ছুটির অর্ডার এখনও পর্যন্ত বের করেনি। ফলে সরস্বতী পুজোর পরের দিন ছুটি নিয়ে মিডিয়ার একাংশের প্রচারে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষকরা৷’’