পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ সম্ভব? জবাব SSC-র

কলকাতা: মামলার গেরোয় থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আদৌ কি পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে প্যানেল প্রকাশ সম্ভব? আইনি জট কাটিয়ে কিভাবে হবে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া? চাকরিপ্রার্থীদের এহেন প্রশ্নের জবাব দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান

পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশ সম্ভব? জবাব SSC-র

কলকাতা: মামলার গেরোয় থমকে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আদৌ কি পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে প্যানেল প্রকাশ সম্ভব? আইনি জট কাটিয়ে কিভাবে হবে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া? চাকরিপ্রার্থীদের এহেন প্রশ্নের জবাব দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷

আজ বিকেল ডট কমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এসএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিলেই শুরু হবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আদালতের তরফে সবুজ সংকেত দিলেই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার ‘খেলা’ শুরু করে দেবেন তিনি৷

সোমবার আজ বিকেল ডট কমকে এসএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘‘আগে স্থগিতাদেশ উঠে যাক, তারপর যা করার করব৷ স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আমি প্রস্তুত৷ আমিও খেলবার জন্য রেডি থাকব৷ আমি রেডি থাকব৷’’ পুজোর আগেই কি উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ সম্ভব? জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমি বলতে পারব না৷ কোর্ট বললেই হুইসেল বাজিয়ে আমি খেলা শুরু করে দেব৷ আমি কী করে বুঝব, ২০ তালিকা স্থগিতাদেশ উঠে যাবে? যদি আরও বেড়ে যায়? আমি তো বিচারক নয়, এসএসসির চেয়ারম্যান৷ স্থগিতাদেশ যেদিন উঠবে সেদিন আমি বাঁশি বাজিয়ে দেব৷ খেলা শুরু হয়ে যাবে৷ আর স্থগিতাদেশ না উঠলে হবে না৷ যে এই মামলা দেখছেন, সেই বিচারপতি আন্দামানের সার্কিট বেঞ্চে চলে যাচ্ছেন৷ তবে, মামলা নিস্পত্তি হলে আমিও রেডি আছি৷’’

চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যে বেশ খানিকটা ইঙ্গিত মিলেছে, কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে দিলে খুব সম্ভবত সেদিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কেননা কুড়ি সেপ্টেম্বর শুক্রবার৷ ওই দিন যদি স্থগিতাদেশ উঠে যায়, তাহলে রাতেই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এরপর খুব সম্ভবত তার পরের সপ্তাহে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পথে হাঁটতে পারে কমিশন৷ তবে হাইকোর্ট পুজোর ছুটিতে বন্ধ হওয়ার আগে গোটা প্রক্রিয়া সেরে নিতে চলেছে কমিশন৷

কমিশন সূত্রে খবর, যেহারে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে, তাতে পুজোর আগে যদি প্যানেল প্রকাশিত হয়, তাহলে সেই প্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে করতে প্রায় অক্টোবরের মাঝামাঝি হয়ে যেতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়াও বেশ খানিকটা এগিয়ে যেতে৷ তবে, একবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তার ওপর স্থগিতাদেশ চাপানো বেশ কষ্টকর বলেও মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ ফলে একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে প্যানেল প্রকাশের ভাবনাচিন্তা রয়েছে কমিশনের, ঠিক তেমনি মামলা মোকদ্দমার দীর্ঘ জটিলতার পথ এড়িয়ে মেধা তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ তবে গোটা পর্যায়টি এখন পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে৷ পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হবে কি না তার সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের ২০ তারিখের শুনানির ওপর৷

যদিও এই সঙ্গে যুব ছাত্রনেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে৷ ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট পরীক্ষা নিয়ে ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে তার ফল প্রকাশ করা হয়৷ কিন্তু, এখনও নিয়োগ হয়নি৷ আদালতের নির্দেশ ছিল, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশ কমিশন নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের ডাকেছে৷ কারণ, তার মানে নন ট্রেন্ডদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে! কেবল ডাকল না, সেই নথিও ফাঁস করে দিল৷ ফলতঃ মামলা অনিবার্য৷ আদালতে হলফনামা দিতে বললেও দেওয়া হয় না৷ আসলে ৪ বছর পরও সরকার চায় না নিয়োগ হোক!’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *