আজ বিকেল: স্কুল সার্ভিস কমিশনে জারি অচলাবস্থা৷ আর তার জেরেই কার্যত থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ বাংলা বিষয়ে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার শেষ হয়েছে৷ কিন্তু, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনই নিয়োগ পাচ্ছেন না চাকরি প্রার্থীরা৷ কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর৷
ফের শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ বিভ্রাট, আদৌ হবে কি নিয়োগ?
কবে, সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা৷ একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়, যেগুলির কাউন্সেলিং আগেই হয়ে গিয়েছে, সেগুলির নিয়োগপত্র আগে ছাড়া হবে, নাকি বাংলার সহ সব নিয়োগপত্র একসঙ্গে ছাড়া হবে? সেবিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভার আগে আপার নিয়োগ সম্ভব?
চাকরি সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই মুহূর্তে বর্ষ শেষের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বড়দিনরে পর তিন চারদিন খোলা থাকবে সরকারি দপ্তর৷ ফলে, মনে করা হচ্ছে, নতুন বছরের আগে কোনও ভাবেই শিক্ষক নিয়োগের অগ্রগতী হওয়ার কোনও সম্ভবনা নেই৷ তবে, নতুন বছরের শুরুতেই পরপর সুখবর দিতে পারে কমিশন৷ কেননা, সামনেই লোকসভা নির্বাচন৷ ফলে, নির্বাচনকে মাথায় রেখে শিক্ষক নিয়োগে গতি বাড়তে পারে৷
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
কমিশন সূত্রে খবর, আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আপারে প্রথম পর্বের ভেরিফিকেশন শুরু হতে পারে৷ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ভেরিফিকেশন সেন্ট্রাল অফিসে হওয়ার কথা৷ ধাপে ধাপে তিনটি পর্বে এই ভেরিফিকেশন পর্ব হওয়ার কথা রয়েছে কমিশনের৷ গোটা বিষয়টিই লোকসভা ভোটের আগে শেষ হওয়ার কথা৷ নিয়োগ পর্বে কোনও বাধা না থাকলে লোকসভা ভোটের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কমিশন৷
গত ১৭ ডিসেম্বর সরকারি অর্ডারে বলা হয়েছে, ওদিন থেকেই এসএসসির চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য৷ আর বর্তমান চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র তাঁকে দায়ভার বুঝিয়ে দিয়ে বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ পদে চলে যাবেন৷ কিন্তু ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য সরকারি অর্ডার হাতে পাননি৷ তিনি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অর্ডারের কথা শুনে আবার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এটা সম্ভবত ভুল করে হয়েছে৷ কারণ, সুবীরেশবাবু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে তাঁকে ফের এসএসসির চেয়ারম্যান করে আনা যুক্তিযুক্ত কাজ হবে না৷ তবে, সেই অর্ডার বাতিল করা হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়ানি বিকাশ ভবনে তরফে৷ ফলে, চূড়ান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে৷ তবে, মনে করা হচ্ছে জটিল এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ধীরে ধীরে উচ্চ প্রাথমি ও নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে কমিশন৷