কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফের পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ অনিয়মের বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের৷
আজ দুপুরে কমিশনের অচার্য সদনে সামনে বিশাল জমায়েত করেন ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক পদপ্রার্থীরা৷ বিক্ষোভের জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে হয়ে ওঠে৷ পরে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানান প্রার্থীরা৷ নথিপত্র হাতে আজ কমিশনের সামনে ভিড় জমান অন্তত হাজার খানিক ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থী৷ মঙ্গলবারও কয়েকশো প্রার্থী কমিশনের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানান৷ তবে, চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নিচ্ছে না কমিশন৷ এরই প্রতিবাদে আজ কমিশনের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীদের একাংশ৷
এবিষয়ে বাম যুব ছাত্র নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট উচ্চ প্রাথমিকের পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফলাফল প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ লড়াই আন্দোলন মালার পর হাইকোর্টের নির্দেশ গত ৪ অক্টোবর মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ কিন্তু তাতে ভুল!
বাম ছাত্রনেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘টেট, একাডেমিকের নম্বর বেড়েছে অনেকের৷ প্রশ্ন কী করে বাড়ল? কেন বাড়ল? পাস করে, ভেরিফিকেশনের পরও কেন ইন্টারভিউয়ে বাদ গেলেন একাধিক সফল চাকরিপ্রার্থী? আদালত তো জানিয়েছিল, যাঁরা ইন্টারভিউ দিয়েছে সবার নাম রাখতে হবে৷ তবে কেন নেই? মাল্টিপিল র্যাঙ্ক কেন করা হল না? এর জন্য দায়ী কে? সংরক্ষণের নিয়ম কেন মানা হল না? কেন অনুপাত বজায় রাখা হল না? ইন্টারভিউয়ের নম্বর কেন মেনুপুলেট কেন করা হল? কমিশন বলেছিল, স্বচ্ছ মেরিট লিস্ট৷ আদালত বলেছিল, এই লিস্টে গোলমাল থাকলে তা অভিযোগ আকারে কমিশনকে জানাতে৷’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘পুজোর ছুটি চলছে৷ তার মধ্যেই দু’হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে৷ এখনও চলছে৷ আগামিকাল ১৬ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর সংগঠিত ভাবে চাকরিপ্রার্থীরা আসছেন৷ আরও ভিড় হবে৷ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রস্তুত৷ দেখি কমিশন কি করে৷ আর তা না হলে এক ইঞ্চিও যায়গা ছাড়াব না৷’’