নয়াদিল্লি: করোনার থাবা এবার নতুন নিয়োগে৷ ভারতীয় রেলে আরও বাড়ছে নিয়োগ জটিলতা৷ একধাক্কায় ৫০% শূন্যপদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড৷নতুন নিয়োগ লাটে তুলে রেলের যুক্তি, সুরক্ষা সঙ্গে আপোষ না করে শূন্যপদ বিলোপ করা হবে৷ আপাতত কোনও নতুন পদ সৃষ্টি হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ নিয়োগ উপর পুরোপুরি স্থগিতাদেশ দিয়েছে রেলবোর্ড৷
রেল বোর্ডের তরফে প্রত্যেকটি জোনের ম্যানেজারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে রেলে নতুন কোনও নিয়োগ করবে না৷ এর আগেও রেলে তরফ এ খরচ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ শুরু হয়েছিল ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা৷ পরে রেলের তরফে জানানো হয়, কর্মী ছাঁটাই হবে না, তবে কর্মচারীদের কাজের ধরণ বদলে যাবে৷ এরপর আজ ৫০ শতাংশ শূন্যপদবিলোপ করার বিষয়ে ধরানো হয়েছে চিঠি৷
রেল বোর্ডের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেলের যে সমস্ত শূন্যপদ রয়েছে সেই সমস্ত শূন্যপদে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে৷ ভবিষ্যৎ নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে বাঁধতে হবে৷ রেলের পর্যবেক্ষণ, বেশ কিছু ক্ষেত্রে চাকরির পদ্ধতি বদলে দেওয়া হচ্ছে৷ অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করছেন৷ বর্তামান পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে আগের মতো নেই৷ যদিও ছ’টি নির্দিষ্ট পদ রয়েছে, যেখানে সরাসরি সুরক্ষা সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে৷ গার্ড, স্টেশন ম্যানেজার পদ-সহ বেশ কিছু পদে নিয়োগ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷
রেলের যুক্তি, সুরক্ষা বাদে নতুন পদ সৃষ্টি করা যাবে না৷ সমস্ত শূন্যপদে আপাতত নিয়োগ স্থগিত রাখা হচ্ছে৷ কঠোরভাবে ব্যয় সংকোচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সমস্ত জেনারেল ম্যানেজারকে দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের তরফে চিঠি৷ এই প্রেক্ষিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ ৩৬৮১টি শূন্যপদ বিলোপ করা হচ্ছে৷ ৪ ডিভিশন ও সদর দফতরে প্রায় ৩৬৮১ পদ বিলোপের প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর৷ এজিএম চিঠি দিয়েছেন সমস্ত ডিআইএমদের৷ দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে ৮৮৫টি শূন্যপদ এর আওতায় আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে৷
অন্যান্য পদের মধ্যে থেকে ৫০% শূন্যপদে বিলোপের কথা বলা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি জোনের থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে৷ কোন কোন পদ বিলোপ করা যায়, নতুন কত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, কত শূন্যপদ রয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত কোনও নিয়োগ হবে না৷ নতুন শূন্যপদ তৈরি হবে না বলেও দেওয়া হয়েছে নির্দেশ৷ রেল গোটা দেশে সব থেকে বড় নিয়োগকারী সংস্থা৷ সেখানেই যদি নিয়োগ সম্ভাবনা কমে যায়, তাহলে দেশজুড়ে বেকারির হার কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা ভাবতেই পারছেন না পর্যবেক্ষকরা মহলের অকাংশ৷ তার জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
কেননা, ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ রেলের, ঝুলে ১.২৫ কোটি আবেদন৷ সেই সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে হবে, আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ আর যদি রেলে কোনও পদে নিয়োগ না হয়, তাহলে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা নিজের টাকা খরচ করে আবেদন জমা করেছিল, সেই সমস্ত টাকা কি ফেরত দেবে রেল? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷