আজ বিকেল: স্কুল সার্ভিস কমিশনে জারি অচলাবস্থা৷ আর তার জেরেই কার্যত থমকে গেলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ বাংলা বিষয়ে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার আজ শেষ দিন৷ কিন্তু, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনই নিয়োগ পাচ্ছেন না চাকরি প্রার্থীদের একাংশ৷ এমনকী, বাংলা বিষয়ের প্রার্থীদের এদিন কাউন্সেলিংয়ে বলে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নিয়োগপত্র আসতে আরও দু’মাস সময় লাগতে পারে৷ বাংলার পাশাপাশি কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর৷ কবে, সফল প্রার্থীদের ডাকা হবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা৷ একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়, যেগুলির কাউন্সেলিং আগেই হয়ে গিয়েছে, সেগুলির নিয়োগপত্র আগে ছাড়া হবে, নাকি বাংলার সহ সব নিয়োগপত্র একসঙ্গে ছাড়া হবে? সেবিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ এখনও এ বিষয়ে কিছু ঠিক হয়নি বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু, কেন এই সমস্যা? কেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা? এই পরিস্থিতি হওয়ার পেছনে সরকার ও কমিশনের টানাপড়েনকেই দায়ী করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এসএসসির চেয়ারম্যান এখন কে? তা নিয়েও ধন্ধ তৈরি হয়েছে৷ ফলে, বারংবার থমকে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ গত ১৭ ডিসেম্বর সরকারি অর্ডারে বলা হয়েছে, ওদিন থেকেই এসএসসির চেয়ারম্যান হচ্ছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য৷ আর বর্তমান চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র তাঁকে দায়ভার বুঝিয়ে দিয়ে বেহালা কলেজের অধ্যক্ষ পদে চলে যাবেন৷ কিন্তু ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য সরকারি অর্ডার হাতে পাননি৷ তিনি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই অর্ডারের কথা শুনে আবার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, এটা সম্ভবত ভুল করে হয়েছে৷ কারণ, সুবীরেশবাবু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে তাঁকে ফের এসএসসির চেয়ারম্যান করে আনা যুক্তিযুক্ত কাজ হবে না৷ তবে, সেই অর্ডার বাতিল করা হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়ানি বিকাশ ভবনে তরফে৷ ফলে, চূড়ান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছে৷
এদিকে, বাংলার কাউন্সেলিং চলার সময় এসএসসির ওয়েবসাইটে কিছু গণ্ডগোল হয়। ফলে বেশ কিছুক্ষণ প্রক্রিয়া স্তব্ধ থাকে৷ প্রার্থীদের মধ্যে রটে যায়, ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে৷ যদিও, এই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷ শর্মিলা মিত্রকে একাধিকবার ফোনে ধরার চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি৷ আদৌ কবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে, তা নিয়েও বাড়ছে জটিলতা৷