কলকাতা: বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ১ বছর ৮ মাস৷ কিন্তু, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত টেটের পরীক্ষায় নিতে পারেনি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ ২০১৫ সালের পর এই রাজ্যে টেট বা টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হয়৷ ২০১৭ সালে ওক্টবরে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও এখনও শূন্যপদ জানানো দূর, কবে হবে পরীক্ষা, তা এখনও জানানো হয়নি৷ এই পরিস্থিতি দাড়িয়ে টেট পরীক্ষা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের৷
২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর এখনও কেন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি? এর ফলে কি রাজ্যে প্রশিক্ষিত ও নথিভুক্ত শিক্ষকের অভাব তৈরি হচ্ছে না? সোমবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্য সরকারের বক্তব্য তলব করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের৷
আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে৷ মামলাকারী শীর্ষেন্দু সেনগুপ্ত-সহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী টেটের পরীক্ষার দিন ঘোষণার দাবিতে মামলা দায়ের করেন৷ মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে টেটের নির্দেশিকা জারি করেছিল পর্ষদ৷ কয়েক লক্ষ শিক্ষক পদপ্রার্থীরা ১০০ টাকা জমা করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন৷ কিন্তু, ১ বছর ৮ মাস পরও সেই পরীক্ষা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ তিনি জানান, এনসিটিই বা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি বছর অন্তত একবার প্রতিটি রাজ্য সরকারের টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা৷ কিন্তু, ২০১৫ সালের পর থেকে পরীক্ষা নেওয়াই হচ্ছে না৷ রাজ্যে দু’টি টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ পরীক্ষায় বসেন ৩৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী৷ ৪৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগও হয়েছে৷ সেখানেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ মামলা হয় বেশ কয়েকটি৷ পর্ষদ সূত্রে খবর, এখনও ২৫ হাজার শূন্যপদ রয়েছে৷ ফলে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব বাড়ছে৷ অথচ, টেট পরীক্ষায় সফল হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের ভবিষ্যৎ ক্রমশ অন্ধকারের দিকে এগোচ্ছে৷ এই প্রেক্ষাপটেই আদালত রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে৷