কলকাতা: নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের অনস্পট নোটিশ প্রকাশের দাবিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার আচার্য সদনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ নবম দশম স্তরের তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের প্রার্থী ও পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ের প্রার্থীদের এই আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, কেন এই আন্দোলনের ডাক?
চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘বর্তমানে আমরা চরম অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ যে কোন দিন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে৷ গত ৬ বছর ধরে কমিশনের কর্মপদ্ধতি দেখে এটুকু বোঝা যায়, যে অজুহাত দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া ১ মাসের কাজ ১ বছর লাগিয়ে দিতে এরা সিদ্ধহস্ত৷ তাই বাড়ি বসে টেনশন না করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দাবি ছিনিয়ে নিন৷’’
বহু শিক্ষকদের আরও দাবি, ‘‘আগামী ১২ মার্চ প্যানেল প্রকাশের ১ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে৷ এই বিষয়টাও আমাদের ভাবিয়ে তুলছে৷ পরবর্তীতে কমিশন আবার আমাদের হওয়া চাকরি নিয়ে টালবাহানা করবে না তো? তাই সময় থাকতে আমাদের দাবি আদায় করতেই হবে৷ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই কমিশন আবার নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে না তো? প্রশ্ন কিন্তু মনে দানা বাঁধতে শুরু করেছে! তাতে পরবর্তী কাউন্সেলিংয়ের প্রার্থীদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে! তাই দ্রুত কাউন্সেলিং যে কোনও মূল্যে শুরু করাতে হবে আমাদের৷’’
তাঁদেক আরও দাবি, ‘‘নন জয়েনিং সিট যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে তৃতীয় কাউন্সিলিংয়ে ৩০০০ মতো ভ্যাকান্সিতে কাউন্সিলিং হবে৷ এতগুলি ভ্যাকান্সি কমিশন যাতে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে না দেয়, তার জন্য আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ ২০ তারিখ থেকে নবম-দশমের ৩য় কাউন্সেলিংয়ের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদিন আলোচনা চলছে৷ আমাদের মনে হয়েছে, তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের নোটিশের দাবিতে একটা ভাল অংশের ক্যানডিডেট দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন৷ অনেকেই ভাল অ্যাকটিভ৷ তাই সকলেই চলুন, আন্দোলন টাকে একটা বৃহত্তর আকার দিয়ে আমাদের দাবি ছিনিয়ে নিই৷’’
এখানেই থামেননি চাকরিপ্রার্থীরা৷ তাঁদের আরও দাবি, ‘‘নবম-দশমের তৃতীয় কাউন্সিলিং করতে মাত্র ২ দিন সময় লাগবে৷ তাই কমিশন অন্যকি করবে সেটা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই৷ আমরা কোনও বাহানা শুনব না৷ অনস্পট নোটিশ আমাদের দিতেই হবে৷ কেননা, আজ কমিশনে যোগাযোগ করা হয়েছিল৷ আমাদের বেশ কিছু ক্যানডিডেট কলকাতায় আছেন৷ তাঁরা বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করবেন৷ ২৭ তারিখ সবাই মিলে অবস্থান করে যতক্ষণ না ৯ ১০ এর ৩য় কাউন্সিলিংয়ের নোটিশ দিচ্ছে আমরা উঠব না৷ এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে৷ একটা আটো সাটো পরিকল্পনা করা হয়েছে, সকলে উপস্থিত হয়ে সেটা সফল করে তুলুন৷ কেউ অজুহাত দেখিয়ে বাড়িতে বসে থাকবেন না৷ ভোটের আগে যদি নিয়োগপত্র পেতে চান তাহলে অবশ্যই সকলকে আসতেই হবে৷ আশাকরি সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা ২৭ তারিখ ভালো কিছু নিয়েই ফিরব৷’’