MBBS ছেড়ে IAS! একটি ‘ধমক’ বদলে দিল প্রিয়ঙ্কা শুক্লার জীবন

MBBS ছেড়ে IAS! একটি ‘ধমক’ বদলে দিল প্রিয়ঙ্কা শুক্লার জীবন

নয়াদিল্লি: ইচ্ছে ছিল স্টেথোস্কোপ নিয়ে মানব সেবায় মন দেবেন, কিন্তু ডাক্তার হতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত বদলে ফেললেন সিদ্ধান্ত। হরিদ্বারে বড় হয়ে ওঠা প্রিয়াঙ্কা শুক্লা স্থির করলেন সরকারি আমলা হবেন। তাই এমবিবিএস ছেড়ে আইএএস হওয়ার দৌড়ে সামিল হন প্রিয়ঙ্কা, কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? জানলে অবাক হবেন৷

ছোটবেলায় সরকারি অফিসারদের ঘরের বাইরে বড় বড় অক্ষরে ছাপা নেমপ্লেট দেখিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে তাঁর বাবা বলতেন, বড় হয়ে এ রকমই কোনও অফিসার হতে হবে। কিন্তু, না প্রিয়ঙ্কার আমলা হয়ে ওঠার পিছনে অবশ্য এটাই একমাত্র কারণ নয়। এমবিবিএস পাশ করে চিকিৎসক হয়ে চেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০৬ সালে লখনউ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর ডাক্তারিটাও বেশ মন দিয়ে করছিলেন। কাজের জন্য লখনউয়ের অলিগলিতে ঘুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হত তাঁকে। তেমনই একদিন একটি ঘটনা জীবনের মোড় বদলে দেয় প্রিয়াঙ্কার।

লখনউয়ের এক বস্তিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি দেখেন, এলাকায় অস্বাস্থ্যকর জল পান করছেন এক মহিলা। এমনকি তিনি ওই জল তাঁর শিশুকেও খাওয়াচ্ছেন। চিকিৎসক হিসেবে ওই মহিলাকে অস্বাস্থ্যকর জল খেতে এবং শিশুকে খাওয়াতে বারণ করেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু মহিলার উত্তর বদলে দেয় ডাঃ প্রিয়ঙ্কা শুক্লার জীবন। বস্তিবাসী ওই মহিলা প্রিয়ঙ্কার কাছে জানতে চেয়েছিলেন তিনি তাঁকে এত উপদেশ দেওয়ার কে? জেলাশাসক না কোনও উচ্চপদস্থ অফিসার?

সেদিন মহিলার সামনে নিরুত্তর থেকেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। মাথার মধ্যে বার বার ঘুরে ফিরে আসছিল মহিলার প্রশ্নগুলো।  এরপরই এমবিবিএস চিকিৎসক থেকে আইএএস অফিসার হওয়ার সংঙ্কল্প নিয়ে ফেলেন। দেরী না করে ডাক্তারির পাশাপাশি আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা শুক্লা। ২০০৯ সালে আইএএস পরীক্ষাতে উত্তীর্ণও হন। বর্তমানে ছত্তীসগঢ়ে কর্মরত তিনি। আইএএস হওয়ার দু’বছরের মধ্যে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন প্রিয়ঙ্কা শুক্লা। ২০১১ সালে সেনসাস সিলভার পদক এবং রাষ্ট্রপতির হাত থেকে আরও একটি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। নেটমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় এই আইএএস। শুধুমাত্র  টুইটারেই তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − eight =