কলকাতা: ফের আজ বিকেল ডট কমকে ভূয়শী প্রশংসা করে চাকরিপ্রার্থীদের উৎকণ্ঠার জবাব দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ উচ্চ প্রাথমিকে মেধা তালিকা সংক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্বেগ কাটিয়ে আরও এক দফায় ৫টি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান৷
আজ বিকেল ডট কমের তরফে কমিশনের চেয়ারম্যানকে চারকিপ্রার্থীদের হয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোনও সাধারণ পরীক্ষার্থী যদি মেধাতালিকার থাকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেন, সেই প্রার্থীর টেটের ওয়েটেজের প্রাপ্য নম্বর কি বাদ দেওয়া হবে? না কি অভিযোগকারী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে? জবাবে সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘আমরা ২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযোগ নেব৷ ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের একটু সময় দিন৷ আমরা অভিযোগ ভাগ করছি৷ কে কেমন ধরণের অভিযোগ করছে, সমস্ত কিছু আমরা বাছাই করে রাখছি৷ সেইগুলি খতিয়ে দেখার পর আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব৷ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব৷ তাঁদের লিখিত বক্তব্য আমরা পরে দেখব৷ সে কী বলতে চাইছেন৷ তারপর সেটা বিচার করা হবে৷ আমরা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখব৷’’
আদালতের পরবর্তী শুনানির আগে কি কমিশন সংশোধিত প্যানেন প্রকাশ করবে? না কি আদালতের অনুমতি নিয়ে করা হবে? জবাবে সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘না৷ আমরা সেইসব কেন করতে যাব৷ আগে আমরা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখি৷ কি দাঁড়াচ্ছে সেটা আগে দেখি৷ সেই সমস্ত দেখবার পর আমরা বিবেচনা করব৷ আগে দেখব, কী অভিযোগ আসছে৷ আমাদের তো সময় দিতে হবে৷ আমরা নিশ্চয়ই সমস্ত চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখব৷ আমরা সমস্ত চাকরি প্রার্থীর অভিযোগ লিখিতভাবে জমা নিচ্ছি৷ আমরা তো পোস্ট বক্সে জমা নিচ্ছে না অভিযোগ৷ যে অভিযোগ করছে, তাঁদের আমরা নথিপত্র জমা রাখতে বলছি৷ সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’
ধরা যাক কোনও বিষয়ের ৫৬০ জনের নাম মেধাতালিকায় আছে৷ তাহলে 1:1.4 অনুপাতে আসন দাঁড়াচ্ছে ৪০০টি৷ কমিশন কি মোট শূন্যপদ একই রাখবে? না পরিবর্তন হবে? জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘না, না৷ আমাদের নিয়ম হচ্ছে, মেধাতালিকায় শেষ নম্বর পাওয়া সমস্ত প্রার্থীকে ডাকতে হয়৷ এটাই নিয়ম৷ আমরাও সেভাবেই তাঁদের ডেকেছি৷ ওই অনুপাতের বিষয় নয়৷ যার শেষ নম্বর যত থাকবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে সবাইকে ডাকা হবে৷’’
অভিযোগ খতিয়ে দেখে মেরিট লিস্ট পরিবর্তন করার কোনও সম্ভবনা রয়েছে? নাকি প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত প্যানেল হবে? জাবাবে সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘আমরা আগে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখি৷ তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব৷ প্রথমে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে হবে আমাদের৷ কে কী বলছেন, সেটা আগে আমাদের দেখতে হবে৷ প্রত্যেকটা অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব৷’’
প্রকাশিত শূন্যপদের সংখ্যা কি বাড়াবে? জাবাবে কমিশন প্রধান জানিয়েছেন, ‘‘শূন্যপদ বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের হাতে থাকে না৷ শূন্যপদ কম-বৃদ্ধির বিষয়টি আমার উপর কখনও নির্ভর করে না৷ সরকার সেটা সিদ্ধান্ত নেবে৷ বিষয়টি আমার হাতে নেই৷ আমাদের যেমন দেবে আমি সেই অনুযায়ী ফল প্রকাশ করব৷’’