কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: কেন এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা গেল না ষষ্ঠ বেতন কমিশন? কেন দফায় দফায় বাড়াচ্ছে বেতন কমিশনের মেয়াদ? রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে ফের বিদ্রোহ ঘোষণা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের৷ মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা, তাও পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেওয়া হয়েছে খোলা চিঠি৷ কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি

কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতা: কেন এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা গেল না ষষ্ঠ বেতন কমিশন? কেন দফায় দফায় বাড়াচ্ছে বেতন কমিশনের মেয়াদ? রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে ফের বিদ্রোহ ঘোষণা কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের৷ মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা, তাও পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেওয়া হয়েছে খোলা চিঠি৷

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল মিত্র খোলা চিঠি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘‘গত ২৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ অধ্যাপক অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ জারি করেছিল সরকার৷ ছ’মাস মেয়াদী এই কমিশন আজ পর্যন্ত রিপোর্ট পেশ করতে ব্যর্থ৷ আর এই কারণে বাড়ছে বেতন বঞ্চনা৷’’

কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা, তাও পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, ‘‘মূল বেতন সঙ্গে গ্রেড পে যা হওয়া উচিত-১০০x২.৫৭%, মহার্ঘ ভাতা ১১x২.৫৭%, এইচআরএ ১৫x২.৫৭%, সর্বমোট ৩২৩৮২%৷ বর্তমানে রাজ্য কর্মীরা পান, মূলত বেতন ও গ্রেড পে ১০০ শতাংশ৷ ডিএ ১২৫ শতাংশ৷ এইচআরএ ১৫ শতাংশ৷ মোট ২৪০শতাংশ৷ অর্থাৎ রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রীয় ও অন্য রাজ্যকর্মীদের তুলনায় কম পাচ্ছেন ৮৩৮.৮২ শতাংশ৷’’

কেন্দ্রের তুলনায় কতটা কম বেতন পান রাজ্যের কর্মীরা? পড়ুন চাঞ্চল্যকর তথ্যসংগঠনের তরফে খোলা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন অর্থনৈতিক শোষণ চলছে৷ গত ৩১ মার্চ ১৯৯৬ এর অনুমোদিত (বর্তমানে বর্ধিত জনসংখ্যার অনুপাতে এই অনুমোদিত কর্মীপদ সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কথা যা এখনও হয়নি) শূন্যপদ ছিল ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৯০ জন৷ বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ১১৯৷ অর্থাৎ শূন্যপদ ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১টি৷ এই ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ শূন্যপদে কোন নতুন নিয়োগ নেই৷ ফলে ভয়াবহ কর্মী ঘাটতি সমস্যায় জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন৷ বর্তমান জনসংখ্যা প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু গত ৩১ মার্চ ১৯৯৬ এর অনুমোদিত কর্মী পদ সংখ্যা যা ছিল সেই হারে বর্তমান অনুমোদিত কর্মী পদ সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া জনস্বার্থে অত্যন্ত জরুরি৷ এই কাজটি করা হলে প্রকৃত শূন্যপদ অনেক বেশি হয় স্বাভাবিক৷ এই বিপুল সংখ্যায় সমস্যায় কর্মীর অভাবে জর্জরিত প্রশাসন৷ ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নতুন করে পেনশন সংযুক্ত হয়েছেন, যাঁদের জন্য বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার জন্য সরকারি কর্তাদের অর্ধেক৷ অর্থাৎ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক যথেষ্ট দায় অনেকটাই কমেছে৷ এই পরিস্থিতে আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে পয়লা জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করুক৷ অবিলম্বে ২ লক্ষ ৮ হাজার ১৭১ শূন্যপদে রাজ্য সরকার পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করুন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *