কতটা কম DA পান বাংলার সরকারি কর্মচারীরা? শেষের পথে স্যাটের সময়সীমা

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দীপাবলীর সুখবর শুনিয়েছে শুনিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ কেন্দ্রের তরফে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পর রাজ্যের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র অসন্তোষ৷ মহার্ঘ ভাতার মামলার স্যাটের রায়কে মনে করিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কর্মচারীদের একাংশ৷ পরিসংখ্যান দিয়ে মহার্ঘভাতার বঞ্চনার বিষয়টি

কতটা কম DA পান বাংলার সরকারি কর্মচারীরা? শেষের পথে স্যাটের সময়সীমা

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দীপাবলীর সুখবর শুনিয়েছে শুনিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ কেন্দ্রের তরফে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পর রাজ্যের কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র অসন্তোষ৷ মহার্ঘ ভাতার মামলার স্যাটের রায়কে মনে করিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কর্মচারীদের একাংশ৷ পরিসংখ্যান দিয়ে মহার্ঘভাতার বঞ্চনার বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন কর্মচারীদের একাংশ৷

দীর্ঘ মামলার জট কাটিয়ে গত ২৬ জুলাই স্যাটের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রায় ঘোষণা হওয়ার তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ কেন্দ্রের হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা৷ বছরে দু’বার মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার কথাও স্যাটের রায় উল্লেখ করা হয়েছে৷ স্যাটের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৬ জুলাই রায় ঘোষণা হওয়ার তিন মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নীতি নির্ধারণ করতে হবে৷ ছ’মাসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে৷ এক বছরের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে অথবা ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হওয়ার আগে৷

কিন্তু ২৬ জুলাই রায় ঘোষণা হওয়ার পর আজ পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের৷ স্যাটের নির্দেশ অনুযায়ী মহার্ঘভাতার মামলার অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে নীতি নির্ধারণের জন্য হাতে আর মাত্র ১৫ দিনের সময় রয়েছে৷ আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে এই নীতি নির্ধারণ করে ফেলার কথা ছিল৷ কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশনের বিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য না থাকায় সেই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে৷ এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের এক দফায় মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছে৷ ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সরকারি কর্মচারী মহলে৷

কতটা কম DA পান বাংলার সরকারি কর্মচারীরা? শেষের পথে স্যাটের সময়সীমা

এবিষয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরে কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার আরও এক কিস্তি অর্থাত ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করল৷ কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা যা চার মাস বকেয়া সহ হাতে পাবেন৷ বর্তমানে কেন্দ্রীয় কর্মীরা নয়া বেতনে ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন৷ যা মূল্যসূচক অনুযায়ী আমাদের ২৯ শতাংশ৷ আরও এক দফায় ৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা যা মূল্যসূচক অনুসারে বিগত বেতনের ১১ শতাংশ৷ ফলে ১/৭/১৯ থেকে ২৯ শতাংশ +১১ শতাংশ= মোট ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা আমরা কম পাচ্ছি৷ কারণ এখন আমরা পাচ্ছি ১২৫ শতাংশ৷ কেন্দ্রীয় কমর্চারী যাদের পুরনো বেতন তাঁরা পাবে ০১/০৭/১৯ থেকে ১৬৫ শতাংশ৷ দেখুন আমাদের সঙ্গে ওঁদের পার্থক্য গিয়ে দাঁড়াবে (১৬৫ শতাংশ – ১২৫ শতাংশ= ৪০ শতাংশ) বলা বাহুল্য আমাদের, ০১/০১/২০ থেকে ডিএ ব্যতীত বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে৷ এবার যদি ধরে নেওয়া হয়, ০১/০১/২০ কেন্দ্রের আরও ৫ শতাংশ ডিএ হল, এবং ওই ৫ শতাংশ ডিএ কম বেশি আমাদের বেতনে সিপিআই অনুসারে তা যদি ১০ শতাংশ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বকেয়া গিয়ে দাড়াবে ১৭৫ শতাংশ – ১২৫ শতাংশ = ৫০ শতাংশ৷ ভাবা যায়? কারণ এবার ১ নং স্কেল ৬৬০০ টাকার সঙ্গে ১৭৫ শতাংশ ডিএ যোগ করে দেখুন তো কত হয়? ১৮,১৫০ টাকা৷ আর ১ নং স্কেল ৬৬০০ ষষ্ঠ বেতন কমিশনে ০১|০১|২০ থেকে কত হচ্ছে? ১৭,০০০ টাকা৷ এবার যাঁরা নয়া বেতনে লালায়িত হচ্ছেন, তাঁদের বলব সরকারের তাবেদারি না করে, আন্দোলন-আন্দোলন গল্প না শুনিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে ডিএটা ছিনিয়ে আনুন তো?’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *