উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদ কত? বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র

কলকাতা: মামলার গেরোয় কার্যত থমকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ দীর্ঘ ৪ বছর নানান জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫৬৪ চাকরিপ্রার্থীকে ডেকেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ পরে আরও মামলাকারীদের সুযোগ দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু

উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদ কত? বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র

কলকাতা: মামলার গেরোয় কার্যত থমকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ দীর্ঘ ৪ বছর নানান জটিলতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫৬৪ চাকরিপ্রার্থীকে ডেকেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ পরে আরও মামলাকারীদের সুযোগ দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও শূন্যপদের সংখ্যা নিয়ে ছিল চূড়ান্ত ধোঁয়াশা৷ ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হলেও তা কর্যত পাত্তা না নিয়ে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদের ঘোষণা এসএসসির৷

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি করেছিলেন, অন্তত শূন্যপদ আপডেট করে বেশি সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগ করুক কমিশন৷ কিন্তু, চাকরিপ্রার্থীদের সমস্ত আশায় জল ঢেলে এবার শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি কারি কমিশনের৷ শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৪৩৩৯ শূন্যপদে নিয়োগ হবে৷ একটি সাদা পাতায় ‘OTAL FINAL VACANCY (EXCLUDING 10% RESERVATION FOR PARA-TEACHER) 14339’-এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷ কিন্তু, বিজ্ঞপ্তির ধরণ দেখে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কারণ, যেভাবে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে, তা এক্ষেত্রে মানা হয়নি৷ নেই কোনও স্বাক্ষর৷ বিজ্ঞপ্তি নেই কোনও মেমো নম্বর, তারিখ৷ কিন্তু, কেন এভাবে এই বিজ্ঞপ্তি? কেন আপডেট করা হল না শূন্যপদ? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ (http://www.westbengalssc.com/sscorg/wbssc/download/notice/final_vacancy_upper_primary_excluding%2010%20percent.pdf)এই লিঙ্কে দেখুন বিজ্ঞপ্তি৷

২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এক বছর পর ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করে৷ আরও দু’বছর পর ২০১৮ সালে চাকরি-প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ এরপর ২০১৯-এ ফেব্রুয়ারি লাগাতার আন্দোলন-লাঠিচার্জ-গ্রেপ্তারির পর কার্যত বাধ্য হয়ে ভেরিফিকেশনের নোটিস প্রকাশ করে কমিশন৷ এরপর দীর্ঘ সময় ধরে চলে ভেরিফিকেশন পর্ব৷ এখনও চলছে ইন্টারভিউ৷ এবার, শূন্যপদের সংখ্যা জানাল কমিশন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 − one =