কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ সি ভুয়ো নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়৷ এখনই সিবিআই অনুসন্ধান নয়৷ এখনই যাচ্ছে না চাকরিও৷ হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর শুক্রবার স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন- ‘দিদি আমাদের বাঁচান’, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন বঞ্চিত হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হবে৷ সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় জানিয়েছেন, মামলার আবেদনপত্রে সামান্য কিছু ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদকে যুক্ত করা হয়নি। আদালত তাদের যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে৷
চলতি সপ্তাহেই এসএসসি গ্রুপ সি পদে ৩৫০ জনের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আদালতে৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ সি মামলায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি ৩৫০ জন ‘ভুয়ো’ কর্মীর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। বিচারপতি আরও জানান, এই ৩৫০ জন ভুয়ো কর্মী যাতে বেতন না পান, সেদিকে নজর রাখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক৷ শুধু তাই নয়, ৩৫০ জন কর্মী এতদিন ধরে যে বেতন পেয়েছেন তাও ফেরাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সিঙ্গেল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তবে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হল৷
গ্রুপ সি মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের ১৮ মে প্যামেলের বৈধতা শেষ হওয়ার পরেও এসএসসি’র তরফে বেশ কিছু সুপারিশপত্র দেওয়া হয়৷ যার ভিত্তিতেই এই ৩৫০ জন নিয়োগপত্র হাতে পান৷ অথচ বোর্ড এবং কমিশন জানায় প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা আর কাউকে নিয়োগপত্র দেয়নি৷ কেউ সেটা দেখালে তা ভুয়ো বলে প্রমাণিত হবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>