কলকাতা: প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ এই মামলার শুনানিতে চাকরি বাতিলের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। গত বুধবার এই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। আজ এই সংক্রান্ত ইস্যুতে নির্দেশ দেওয়া হল।
গত শুক্রবার প্রায় ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে পরে জানা যায়, সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয়, ৩০ হাজার ১৮৫। লেখায় ভুল (টাইপোগ্রাফিক্যাল এরর) হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নতুন করে ইন্টারভিউ পাশ করলে তাঁরা চাকরি ফিরে পাবেন। না হলে চাকরি খোয়াতে হবে। এরপরেই তাঁর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তাদের বক্তব্য ছিল, একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই স্পাইরাল বাইন্ডিংয়ের তথ্য হলফনামা আকারেও পেশ করা হয়নি। একই সঙ্গে এও জানান হয়, পর্ষদের তরফে নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। যদিও মামলায় অ্যাপটিটিউড টেস্টের কোনও উল্লেখই ছিল না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”আরও কতজন জড়িত এই দুর্নীতি কাণ্ডে? How many more involved in recruitment scam?” width=”789″>
অন্যদিকে চাকরিহারাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই অপ্রশিক্ষিত হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। ফলে এ ক্ষেত্রে আইন ভাঙার কোনও জায়গাই নেই। এছাড়া চাকরিহারানো প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী আগেই দাবি করেছিলেন যে, আগে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’। পরবর্তী সময় সেটাই করা হয়েছে। অর্থাৎ, চাকরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।