কলকাতা: একের পর এক অনিময়৷ দীর্ঘ মামলার জটে থমকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ৷ নানান কারণে ৭ বছর ধরে ঝুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ গতবছর মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷ করনো আবহে বেশ কিছুদিন পর অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে চলল উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানি৷ শুনানিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত৷
আজ মামলার শুনানিতে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় স্কুল সর্ভিস কমিশনকে৷ মামলার শুনানিতে কমিশনের তরফে শর্তসাপেক্ষে নিয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়৷ গুচ্ছ অনিয়ম সত্ত্বেও কেন শর্তসাপেক্ষে নিয়োগের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানো হয় মামলাকারীদের তরফে৷ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় কমিশনের তীব্র বিরোধিতা করেন৷ আদালতকে মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়, কোনও ভাবেই গড়মিল থাকা মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করা যাবে না৷ কেননা ওই তালিকায় যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছে বলেও তোলা হয় অভিযোগ৷
চাকরিপ্রার্থীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট যোগ্যতামান থাকা সত্ত্বেও ভেরিফিকেশনে ডাক পায়নি বহু চাকরিপ্রার্থী৷ পাল্টা মেধাতালিকার পক্ষে যুক্তি দেওয়ারও চেষ্টা করেছে কমিশন৷
উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য কমিশনের আর্জিকে খারিজ করে জানান, কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হবে না৷ মেধাতালিকা সংশোধন করা হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত৷ আদালতের প্রশ্নের মুখে কমিশন নিজেদের যুক্ত দেওয়ার চেষ্টা বিফলে যায় বলে অভিযোগ মামলাকারীদের৷
বিচারপতি এদিন সাফ জানিয়ে দেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও নিয়োগ নয়৷ ফলে, নিয়োগের উপর থেকে স্থগিতাদেশ এখনও না ওঠায় ফের অনিশ্চিত রাজ্যের কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ৷ মামলার শুনানি প্রসঙ্গে চাকুরিপ্রার্থীদের তরফে সোমা ঘোষ জানান, ‘‘আমরা সঠিক ভাবে নিয়োগের জন্য যতদূর যেতে হয়, যাব৷ আমরা স্বচ্ছ নিয়োগ চাই৷’’