TET মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

TET মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

 

কলকাতা: টেট পরীক্ষা নিয়ে ফের হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার। রাজ্যের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগামী ১ মার্চের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হাইকোর্টের সমস্ত প্রশ্নের জবাব বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিদেশ গাজীর-সহ ১২ জন। তাদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী এদিন বিচারককে জানান, ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ টিচার এডুকেশনে’র নিয়মাবলী অনুযায়ী, প্রতিবছর রাজ্যের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষা নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেই গাইডলাইন একেবারেই না মেনে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ বছরে কোনও পরীক্ষা নেয়নি রাজ্য। এদিকে ২০১৪ সালের পরীক্ষায় যেসব প্রার্থীরা যোগ্যতার কারণে চাকরি পাননি তাদের পুনরায় নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর নতুনভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন। যদিও তা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ এবং এনসিটিই-এর গাইডলাইনের বিরোধী।

আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী বিচারপতিকে জানান, অতীতে হাইকোর্টে এমন অনেক মামলা হয়েছে যেখানে হাইকোর্টের বারবার নির্দেশ ছিল যেসব প্রার্থীরা টেট পরীক্ষা পাস করেছেন, তাদের শংসাপত্র দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ আজ পর্যন্ত কখনও মানেনি। অতীতে বিচারক সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার কীভাবে টেট পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের শংসাপত্র না দিয়ে ১৬৫০০ পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে? জিজ্ঞেস করে অভিযোগ করেছেন তিনি।

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ শোনার পর রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবীকে আদালতের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, প্রতিবছর টেট পরীক্ষা না নিয়ে ১৬৫০০ পদে রাজ্য সরকার কী করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে? আর প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক কি না সে বিষয়েও জানতে চান তিনি। বিচারপতির আরও প্রশ্ন, যারা ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিল তারা আজ পর্যন্ত শংসাপত্র পায়নি। সেক্ষেত্রে, এনসিটিই-এর গাইডলাইন না মেনে রাজ্য সরকার টেট পাশ করা প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দিয়ে তাদেরকে নিয়োগ করতে পারে কি না? রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদকে আদালতের সমস্ত প্রশ্নের জবাব ১ মার্চের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে দিতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *