কলকাতা: চাকরি করাকালীন চাইলেই উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন সরকারী কর্মচারীরা, বিশেষত শিক্ষক মহলে এই ধরণের নজির দেখা যায় হামেশাই। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরেও ইচ্ছা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যান অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই। কিন্তু এমনটা করতে গিয়েই সরকারের অসহোযোগিতার সম্মুখীন হয়েছিলেন আদিল উজ্জামান নামের এক শিক্ষক। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলে এদিন তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গেছে, চাকরি করাকালীন কেন স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা চালাচ্ছেন আদিল উজ্জামান, এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে উচ্চতর হারে বেতন দিতে অস্বীকার করেছিল সরকারি কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। এদিন সেই মামলার রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য ওই আগাম অনুমতি না নেওয়ার অজুহাতে উচ্চতর বেতন হার দেওয়া অস্বীকার করা যাবে না। সরকারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে এই জয়ে স্বভাবতই আপ্লুত আদিল উজ্জামান।
সূত্রের খবর, চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই ওই শিক্ষক স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফলও। তা সত্ত্বেও নতুন পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়ার আগে কেন তিনি জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমতি নেননি, এই আপাত অবাস্তব প্রশ্ন তুলেছিল সরকারি কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তাঁকে উচ্চতর হারে বেতন দিতেও অস্বীকার করা হয়। এই মামলার শুনানিতে এদিন উচ্চ আদালতের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারি সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, “যে কোনো শিক্ষকের উচ্চশিক্ষার জেরে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উপকৃত হয় শিক্ষার্থীরা। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষাগত উৎকর্ষের সন্ধান করে। তাই কোনও যোগ্য প্রার্থীর আবেদন যাতে এমন আইনি ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষেতে গড়পড়তা বাতিল না হয়, তার জন্য সরকারি গাইডলাইন থাকা দরকার।”