চণ্ডীগড়: রাজ্যে বেসরকারি চাকরির আবেদনকারী স্থানীয় প্রার্থীদের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার বিল পাস করেল হরিয়ানা সরকার। যে সব কোম্পানি মাসে ৫০ হাজার টাকার কম বেতন দেয় তাদের ক্ষেত্রে জারি হবে এই নির্দেশিকা। রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা (রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী) এই বিলটিতে এও জানিয়েছেন যে উপযুক্ত ক্ষেত্রে যদি স্থানীয় প্রার্থী খুঁজে পাওয়া না যায় তবে তারা বাইরে থেকে কাউকে আনাতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে বিষয়চি সরকারকে জানাতে হবে।
তবে, যেহেতু এটি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ও ১৯ অনুচ্ছেদের (আইনের সামনে সমতা এবং যে কোনও পেশায় অনুশীলনের অধিকার) বিরুদ্ধে যাচ্ছে তাই হরিয়ানাকে এটি আইনে পরিণত করতে গেলে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সম্মতি প্রয়োজন। হরিয়ানা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বল্প বেতনের চাকরির জন্য বাজারে ব্যাপক প্রতিযোগিতা চলছে। বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক সেই কারণে রাজ্যে আসছেন। যার ফলে স্থানীয় পরিকাঠামো ও আবাসনগুলির উপর প্রভাব পড়ছে এবং বস্তিগুলির বিস্তার ঘটছে। চাই স্থানীয়দের চাকরিতে নিয়োগ করলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে সমতা থাকবে।
এই বিলে সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসাবে কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা উপযুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংস্থাগুলির উপর রায় দেবে। বিল অনুসারে এই অফিসারের দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের জন্য স্থানীয় প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেতে পারেন। এই বিলের সংস্থাগুলির অধীনে সংস্থাগুলিকে অবশ্যই সমস্ত কর্মচারী প্রতি মাসে ৫০ হাজারের কম গ্রস স্যালারি হতে হবে। বিলটি আইন হওয়ার তিন মাসের মধ্যে এটি কার্যকর করতে হবে। নচেৎ ২৫ হাজার টাকা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে কোম্পানিগুলির। একবার বিল আইন হয়ে গেলে ৭৫ শতাংশ চাকরি অবশ্যই স্থানীয় প্রার্থীদের দিতে হবে। সংস্থাগুলি, যে কোনও একটি জেলা থেকে ১০ শতাংশে কর্মসংস্থান সীমাবদ্ধ করতে পারে। এই নিয়ম ভাঙলে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার হবে।