নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুম শুরুর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এক অভিনব ঘোষণা। এলটিসির বদলে বিকল্প এক বন্দোবস্তের খবর দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এলটিসি অর্থাৎ ভ্রমণের টাকার বদলে ক্যাশ ভাউচার দেওয়ার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী৷ ওই ভাউচার দিয়ে খাদ্যসামগ্রী ছাড়া জিএসটি যোগ্য যেকোনও জিনিস কেনা যাবে৷
অর্থমন্ত্রী সীতারমণ জানিয়েছেন, ১২ শতাংশ বা তার বেশি করযোগ্য যেকোনও জিনিস কিনতে পারবেন কর্মচারীরা। জিএসটি রেজিস্টার্ড বিপণী থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এইসব সামগ্রী কেনা যাবে৷ প্রতি চারবছর অন্তর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা নিজের পছন্দমত যেকোনও জায়গায় কিংবা নিজেদের দেশেরবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পাস এলটিসি পেয়ে থাকেন৷ এই অতিমারির সময়ে বেড়াতে যাওয়া দুষ্কর হওয়ায় ভাউচারের মাধ্যমে এলটিসির টাকা প্রদান করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷
তিনি জানিয়েছেন, এই ভাউচারের মেয়াদ ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত। দেশে চাহিদা মেটানোর জন্য সরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীদের উৎসাহভাতা হিসেবে এই ভাউচার দেওয়া হবে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, এলটিসির ভাউচার দেশের ২০ হাজার কোটি টাকার চাহিদা মেটাবে। এলটিসি হিসেবে প্রতি চারবছরে রেল অথবা বিমানযাত্রার ভাড়া পে স্কেল হিসেবে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১০ দিনের বেতনও দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরাকারি কর্মচারীরা এই ব্যবস্থা বেছে নিলে তার জন্য সরকারের ৫,৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। সরকারি ব্যাঙ্ক এবং সরকারি অধিগৃহীত সংস্থাগুলির কর্মীরাও এই সুবিধা পান, ফলে মোট ব্যয়ের পরিমাণ হয় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি বা বেসরকারি কর্মীরা যারা এলটিসির আওতায় রয়েছেন তারাও করে ছাড় পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি এই প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে।
কেন্দ্রীয় সরকারি এবং সরকারি অধিগৃহীত বা সরকারি ব্যাঙ্কগুলির চাহিদা হিসেব মোটামুটি ১৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাহিদার হিসেব ধরা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া আরও ক্রেতাদের ব্যয়ের হিসেব ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা৷