পায়রা উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরি চাইলেন গ্রুপ ডি সফল প্রার্থীরা

পায়রা উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরি চাইলেন গ্রুপ ডি সফল প্রার্থীরা

কলকাতা: সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা। তবে, ওয়েটিং লিস্টে আছেন। কোভিড ১৯ এর প্রভাবে সারা দেশে লোকডাউন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ গ্রুপ ডি ওয়েটিং কর্মপ্রার্থীরা পায়রা উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইলেন। তাঁদের বক্তব্য, করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কাজ করতে প্রস্তুত। এতে কোভিড ১৯ রোগীরা বাড়তি পরিষেবা পাবে এবং তাঁদের বেকাতত্বের যন্ত্রণা ঘুচবে৷

এই চাকরি প্রার্থীদের দাবি ২০১৭ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দ্বারা তারা ওয়েটিং লিস্টে আসেন। এরপর, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনেক কিছু করেছেন তারা। শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন, এমনকি, হাজতবাসও হয়েছে। এই চাকরি প্রার্থীদের দাবি, মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং বেশ কিছু জেলার সিএমওএইচ-কেও চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে কোভিড ১৯ এর কারণে বার্তাযোগ দুঃসাধ্য। সেই কারণে পায়রার পায়ের বার্তা লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠান হয়েছে। এই প্রতীকী কার্যক্রম প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।

সংগঠনের তরফে সুব্রত দেব প্রধানের বক্তব্য, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক দৃষ্টি লাভের একটি অন্যতম পদক্ষেপ । বর্তমানে করোনা ভাইরাস (কোভিড -19) সংক্রামিত জেনেও সংক্রমিত রোগীর পাশে থেকে পরিষেবা দিতে তৎসঙ্গে বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য আমাদের করুন আর্তি, সর্বশেষ প্রয়াস -প্রাচীন প্রথা অনুসারে পায়রার মাধ্যমে নবান্নের উদ্দেশ্যে একটা বার্তা পাঠালাম। জানি না কোনোদিন পৌঁছাবে কিনা, তবে যদি কখনো কোনোদিন পৌঁছায়, নবান্নের আধিকারিক তৎসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের কাতর আবেদন, আমাদের বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিন, বেকারত্ব মুক্তি দিন।”

এই চাকরি প্রার্থীদের আরও বক্তব্য, প্রায় ৬০০ পরিবার উপকৃত হবে। রাজ্য সরকার দৈনিক ভাতা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করছে। কিন্তু, তারা যোগ্য ক্যান্ডিডেট হিসাবে ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন। সংগঠনের তরফে আশীষ খামারি বলে এক ব্যাক্তি ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি পায়রার পায়ে বেঁধে উড়িয়ে দিচ্ছেন। যদিও কোভিড ১৯ এর কারণে রাজ্য সরকারের সমস্ত রিক্রুটমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের অডিট ব্রাঞ্চ ২ এপ্রিল একটি মেমোরানডাম প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাজ্যের অর্থ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া কোনও নিয়োগ হবে না (প্যারা A, পয়েন্ট 7) তবে, এও জানান হয়েছে, স্বাস্থ্য সম্পর্ক যুক্ত বিষয়ে ছাড় রয়েছে।

ভিডিও দেখুন- https://www.facebook.com/groups/2087023314748895/permalink/2861225577328661/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *