কলকাতা: সাত দিন ধরে বিধান মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল তূণমুল এসএসকে, এমএসকে টিচার্স অ্যান্ড এএস সংগঠন৷ বৃহস্পতিবার বিজেপি শিক্ষক সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাস সহ এসএসকে, এমএসকে শিক্ষকদের বারো জন প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দেন৷ নেতৃত্ব দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা৷
এদিন, বিজেপি শিক্ষক সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের সব কথা রাজ্যপাল শুনেছেন৷ তিনি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন বলেছেন৷ যত দ্রুত সম্ভব তিনি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন৷” দীপল বাবু আরও জানান, “প্রায় সাত বছর ধরে এই এম এস কে শিক্ষকরা আট হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন৷ বহুবার বেতন বাড়ানোর কথা হলেও রাজ্য কিছুই বাড়ায়নি৷ এই নিয়েই অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে এই সংগঠনের শিক্ষকদের মধ্যে৷”
সমগ্র শিক্ষা অভিযানের নিয়ম অনুযায়ী শিশু শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে বেতন বৃদ্ধির নিয়ম বহাল করতে বেতন পরিকাঠামো চালু করতে হবে৷ ২০১৩ সালের মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রকে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আওতায় আনতে হবে৷ শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজারদের পেনশন চালু করতে হবে৷ এছাড়াও এস এস কে,এম এস গুলিকে নবম ও দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাড়াতে হবে এই দাবিগুলো নিয়ে তাঁরা ধরনায় বসেছে৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল তূণমুল এস এস কে, এম এস কে টিচার্স অ্যান্ড এ এস ঐক্য মঞ্চের ডাকে বিভিন্ন দাবিতে ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ধর্না৷ সেদিন থেকে সল্টলেকের বিধান মূর্তির পাদদেশে কয়েক শত শিক্ষক শিক্ষিকা ও সুপারভাইজাররা অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্ণায় বসেছেন৷
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সল্টলেক বিধান মূর্তির সামনে থেকে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষক শিক্ষিকা মিছিল করে বিকাশ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ শুরু হয় পুলিশ শিক্ষক ধস্তাধস্তি৷ সেই সময় মহিলা পুলিশসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন৷ শিক্ষক সংগঠনও দাবি করেন, তাদেরও পাঁচজন আহত হয়েছেন৷ এরপর আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করেন৷