টানা একবছর কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’র নির্দেশ নিল Google

 ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সময়সীমা ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল গুগল। এই পদক্ষেপের পরে গুগল ও এর নিয়ন্ত্রক আলফাবেট আইএনসি-র প্রায় দু-লাখ পূর্ণ-সময়ের কর্মী এবং চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের বেশিরভাগই এই নিয়য়মের আওতায় থাকবেন।  

ওয়াশিংটন: করোনা সতর্কতার কারণে আগামী বছর জুন পর্যন্ত বাড়িতে থেকেই কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম)করতে পারবেন গুগলে কর্মরত ভারত সহ বিশ্বের সমস্ত কর্মীরা। সোমবার ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন বিষয়টি সম্পর্কে অবগতদের মধ্যে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে।  

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে জারি হওয়া সতর্কতামূলক বিধি বিশ্ব জুড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে শিক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রে এই প্রভাব দৃষ্টান্তমূলক। বাড়িতে বসে যেমন অনলাইনে চলছে পড়াশোনা, তেমনই জরুরী পরিষেবা ছাড়া বাড়িতে বসেই অনলাইনেই চলছে অফিসের কাজ। যদিও আনলকপর্ব শুরু হতেই কর্মক্ষেত্রে স্বশরীরে কর্মচারীদের হাজিরা দিতে হচ্ছে সরকারি বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানে। সেখানে অনেক অফিসেই আবার স্যোশাল ডিস্ট্যান্সিং বিধি মেনে কর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যা কমাতে প্রথমবার শিফট-এরও প্রচলন শুরু হয়েছে। তবে কর্মপরিচালনার ক্ষেত্রে এই প্রথম এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল গুগল। 

উদাহরণ হিসেবে, এক্ষেত্রে যদিও ইতিমধ্যেই এই দীর্ঘ সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ই-কমার্স জায়ন্ট অ্যামাজোন। তবে তাদের সময়সীমা ২০২১-এর জানুয়ারি পর্যন্ত। গুগলের সময়সীমা এর থেকে আরও পাঁচ মাস বেশি।

গুগল-এর সিইও সুন্দর কুমার পিচাই, নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে,  তাঁর সভাপতিত্বে শীর্ষস্তরের প্রধান নির্বাহীদের অভ্যন্তরীণ একটি দলের মধ্যে বাদানুবাদের পর গত সপ্তাহে নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পিচাই।

কর্মচারীদের একটি ইমেইল করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “কর্মীদের আগামী দিনের পরিকল্পনা গ্রহনের ক্ষমতা দিতে, আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর সময়সীমা ৩০ জুন, ২০২১ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলাম। তাদের কাজের জন্য অফিসে থাকার প্রয়োজন নেই।” 

এই পদক্ষেপের পরে গুগল ও এর নিয়ন্ত্রক আলফাবেট আইএনসি-র প্রায় দু-লাখ পূর্ণ-সময়ের কর্মী এবং চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের  বেশিরভাগই এই নিয়য়মের আওতায় থাকবেন।  ভারতবর্ষে যেখানে এই সংস্থার প্রায় ৫,০০০ কর্মচারী রয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ভারত গুগলের একটি মূল বিপণী, যার উপস্থিতি বেশিরভাগই হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতে।  ভারতের অর্থনীতি ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশনের জন্য আগামী ৫ থেকে ৭ বছরে ,৭৫ হাজার কোটি (প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার) আর্থিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্প্রতি 'গুগল ফর ইন্ডিয়া ডিজিটাইজেশন ফান্ড' চালু করেছেন পিচাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *