কলকাতা: স্কুল শিক্ষকদের জন্য সুখবর৷ অবশেষে পেনশন বাড়ছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের৷ রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বর্ধিত হারে পেনশনের ঘোষণা করা হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০১৬ আগে অবসর নেওয়া প্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশন বাড়ছে প্রায় ৩০ শতাংশ৷ ২০১৬ সালের পর অবসর নেওয়ার শিক্ষকদের পেনশন বাড়ছে ২৫ শতাংশ৷ ইতিমধ্যেই বর্ধিত পেনশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য৷ ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে মিলবে পেনশন৷
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীরা বর্ধিত পেনশনের সুবিধা পেয়েছেন৷ এবার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বর্ধিত হারে পেনশন দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ ২০১৬ সালের আগে বা পরে যে সমস্ত শিক্ষক অবসর নিয়েছেন তাঁরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন বলে জানা গিয়েছে৷ দেরি হলেও এই বিজ্ঞপ্তি কে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ তবে বর্ধিত হারে এই পেনশন চলতি মাস থেকে তাঁরা হাতে পাবেন কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়৷
এছাড়াও অবসরপ্রাপ্তদের বয়সের নিরিখে অতিরিক্ত কোয়ান্টাম অফ পেনশন ঘোষণা করা হয়েছে৷ ৮০ বছর থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে পেনশনভোগীদের ২০ শতাংশ হারে পেনশন দেওয়া হবে৷ ৮৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত ৩০ শতাংশ, ৯০ থেকে ৯৫ বছরের মধ্যে ৪০ শতাংশ, ৯৫ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত ৫০ শতাংশ, ১০০ বছরের বেশি হলে ১০০% অ্যাডিশনাল কোয়ান্টাম পেনশন মিলবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে৷
রাজ্য সরকার স্বীকৃত ও পোষিত সমস্ত প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলির অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত অ-শিক্ষক কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী) পেনশন রোপা ২০১৯ এর আওতায় পেনশন দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন এবং কিছুদিনের মধ্যেই তা কার্যকর হবে বলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ‘পেনশন রোপা’র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য৷
অভিযোগ, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নয়া বেতন ও পেনশন পাওয়ার কথা থাকলেও বর্ধিত বেতন ও পেনশন পাননি স্কুল-কলেজ-পুরসভার অবসরপ্রাপ্তরা৷ নতুন বছরের প্রথম বর্ধিত পেনশন না পেয়ে হতাশ পেনশনভোগীরা৷ গোটা ঘটনার ঘটনার জন্য অর্থ দপ্তরকে দায়ী করেছেন তাঁরা৷ যা নিয়ে লক্ষ পেনশনভোগীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে৷ স্কুল শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা ও পুর দপ্তরের আধিকারিকের একাংশের গাফিলতির কারণে বর্ধিত পেনশন থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন অবসরপ্রাপ্তরা৷ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা বর্ধিত পেনশন পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন৷ এই ক্ষোভের পর নয়া পেনশন রোপা বিধি ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ক্ষোভ করানোর কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে৷