কলকাতা: দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে চালু হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট ব্যবস্থা৷ টানা লড়াই, আন্দোলন, দপ্তরে ধর্না দেওয়ার পর অবশেষে শিক্ষক সংগঠনের দাবিকে স্বীকৃতি প্রশাসনের৷
অভিযোগ, গোটা রাজ্যের প্রায় ৩ হাজার প্রশিক্ষণহীন মাধ্যমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ছিল৷ এই নিয়ে সম্প্রতি মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়৷ দীর্ঘ আন্দোলের পর অবশেষে প্রশিক্ষণহীন মাধ্যমিক শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট চালুর বার্তা প্রশাসকের৷
এই বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র জানান, সরকারের অনুমতিক্রমে যারা ডিএলএড ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, তাঁদের ডিগ্রি অর্জনের পর রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলায় স্কুল এডুকেশন দপ্তর শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করে৷ ব্যতিক্রম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা৷ এই জেলার আপার প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ডিআই অফিসে নানান ভাবে দরবার জানালেও দাবি মানতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ৷
গতকাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিক্ষকদের নিয়ে বিকাশ ভবনে ডাইরেক্টর অফ একাউনটস সহ শিক্ষা দপ্তরের একাধিক আধিকারিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ ডিএলএড শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া যাবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন৷ অথচ বিকাশ ভবন থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাউনটস অফিসারের সাথে কথা বললেও তিনি তখনকার মত রাজি হননি৷
পরে আজ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতৃত্বে জেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষক ডিআই অফিসের একাউন্টস অফিসারের সামনে ধর্নায় বসেন৷
তিনি আরও জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা মেঝেতে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট প্রদান করার কথা না ঘোষণা করলে শিক্ষকরা দীর্ঘস্থায়ী ধর্নায় অনড় থাকার কথা ঘোষণা করেন৷ তাঁদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে থাকে৷ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে৷ পরে কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য হন৷ দাবি আদায়ের পর শিক্ষকরা এলাকাজুড়ে মিছিল করে ও কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের অভিনন্দন জানান৷ এদিনের গোটা কর্মসূচির নেতৃত্বদেন এসটিইএর জেলা সহ-সম্পাদক বাসুদেব দাস সহ শম্ভু মান্না, উদ্দীপ্ত পাল,সঞ্জীব বেরা-সহ অন্য শিক্ষকরা৷