কলকাতা: বর্ধিত নয়, ন্যায্য বেতন! কেন্দ্রের নয়, যোগ্যতামান অনুসারে সঠিক বেতন চেয়ে টানা ১০ দিন ধরে অনশন চলিয়ে যাচ্ছেন ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা৷ টানা ১২ অনশন চালাতে গিয়ে এবার শিক্ষকদের শরীরে দানা বাঁধল মারণ ব্যাধি৷ কিন্তু, শরীরে মারণ ব্যাধি দানা বাঁধলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় অনশনরত প্রাথমিক শিক্ষকরা৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা মেটাতে বড়সড় আস্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তরের তরফে অর্থ দপ্তরে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ তাতে সর্বভারতীয় স্কেলে বেতন না বাড়লেও বেশখানিকটা বেতন বাড়তে চলেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে৷
সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড পে ৩৬০০ টাকা করা হচ্ছে৷ একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ৭১০০টাকা থেকে ৩৭ হাজার ৬০০ টাকার করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে৷ নয়া এই হার কার্যকর হলে কমপক্ষে ৬ হাজার টাকার বেশি বেতন বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে৷ নয়া হারে বেতন বাড়লে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে প্রতিবছর অতিরিক্ত ১১৭০ কোটি টাকা খবচ হবে৷
তবে, এই প্রস্তাব নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী কিছু না জানালেও মঙ্গলবার শিক্ষক সমস্যার জট কাটাতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের আর্থিক যতটা ক্ষমতা আছে তার ওপর ভিত্তি করেই তাঁদের এই সমস্যার সমাধান হবে৷ আমরা একটা সমাধান সূত্র বার করার চেষ্টা করছি৷ কয়েক দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবো৷’’
বৃহস্পতিবার নজরুল মঞ্চে বেলা একটা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বৈঠক রয়েছে৷ বৈঠকের মূল বক্তা শিক্ষামন্ত্রী৷ মনে করা হচ্ছে, ওই বৈঠক থেকে বেশ কিছু বার্তাও দিতে পারেন শিক্ষামন্ত্রীর৷
তবে, অন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী নিজে কথা দিয়েছিলেন ১৪ জন শিক্ষকদেক দূরে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি দেখবেন৷ কিন্তু, তা এখনও হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ প্রাথমিক শিক্ষকরা চাইছেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসুন৷ তাহলেই মিলতে পারে সমস্যার সমাধান৷ আর তা না হলে অনশন চলবেই৷