অবশেষে শিক্ষকদের মুক্তি দিল পুলিশ, ‘যুদ্ধ জয়ে’র স্লোগানে কাঁপল থানা!

কলকাতা: অবশেষে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের মুক্তি দিতে কার্যত বাধ্য হল যাদবপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জেল বন্দি থাকার পর আজ সন্ধ্যায় বন্দি থাকা ১২ জনকে প্রাথমিক শিক্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ মুক্তি পেয়েছেন শিক্ষক সংগঠন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষক নেতা সন্দীপ ঘোষ, পৃথা বিশ্বাস-সহ অন্য বন্দি শিক্ষকরা৷ এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি

অবশেষে শিক্ষকদের মুক্তি দিল পুলিশ, ‘যুদ্ধ জয়ে’র স্লোগানে কাঁপল থানা!

কলকাতা: অবশেষে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের মুক্তি দিতে কার্যত বাধ্য হল যাদবপুর থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জেল বন্দি থাকার পর আজ সন্ধ্যায় বন্দি থাকা ১২ জনকে প্রাথমিক শিক্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ মুক্তি পেয়েছেন শিক্ষক সংগঠন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষক নেতা সন্দীপ ঘোষ, পৃথা বিশ্বাস-সহ অন্য বন্দি শিক্ষকরা৷

এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ থানার সামনেই উঠতে থাকে স্লোগান৷ ‘দাবি যদি ন্যায্য হয় যুদ্ধ শেষে আসবে জয়’৷ আজ দুপুরে আলিপুর আদালতে ধৃত শিক্ষকদের তোলা হয়৷ সেখানে জামিনের আবেদন জানানো হয় শিক্ষক সংগঠনের তরফে৷ বিরোধীতা করে পুলিশ৷ চেওয়া হবে হেফাজতে৷ কিন্তু, পুলিশের আর্জি খারিজ করে আলিপুর আদালত ধৃত শিক্ষকদের ব্যক্তিগত এক হাজার টাকা বন্ডের জামিন মঞ্জুর করে৷ দুপুরে জামিল হওয়ার পর সন্ধ্যায় তাঁদের মুক্তি দেয় পুলিশ৷

অভিযোগ, সকালে শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ পুলিশের ভূমিকায় নতুন করে ক্ষোভে ফুঁসছে থাকে শিক্ষা মহল৷ সহকর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷  শিক্ষক সংগঠন উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, আলোচনার নাম করে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্ব সন্দীপ ঘোষ, পৃথা বিশ্বাস-সহ ৭ জনকে যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়৷ সেখানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ পুলিশের হেফাজতে থাকা শিক্ষকদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে যাদবপুর থানা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচির নেওয়া হয়৷ পরে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়৷ সরকারি কাজে বাধা ও পথ অবরোধের দায়ে শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

ফিটমেন ফ্যাক্টর-সহ ন্যায্য বেতনের দাবিতে বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি ছিল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের৷ পথে বাধা পেয়ে বাঘাযতীন মোড়ে বসে পড়েন শিক্ষকরা৷ পরে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষকদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল৷ বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর রাজপথ ছেড়ে পাশের একটি পার্কে চলে গিয়ে নতুন করে ধর্নায় বসেন ১০-১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক৷ রাত বাড়তেই স্থানীয়দের তাণ্ডবের মুখোমুখি হন তাঁরা৷ পরে পুলিশ শিক্ষকদের আটক করে৷ ১২৪ জন শিক্ষককে মুক্তি দেয় লালবাজার৷ আরও ১২ জন শিক্ষককে আটকে রাখে যাদবপুর থানার পুলিশ৷ বন্দি থাকা শিক্ষকদের মুক্তি করাতে গিয়ে নেতৃত্বকেও গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে, আজ সন্ধ্যায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়৷

প্রাথমিক শিক্ষকদের উপর পুলিশি হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে সরব হতে শুরু করে শিক্ষক মহল৷ শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন দমনে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত নক্কারজনক৷ আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক৷ আন্দোলন দমনে সরকারের এই ভূমিকাকে তীব্র ধিক্কার জানাই৷ পাশাপাশি আমরা দাবি করছি সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায় সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়া হোক৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =