অবশেষে ১০ চাকরিপ্রার্থীকে মুক্তি দিল পুলিশ

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি রাজা নন্দী সহ ১০ চাকরি-প্রার্থীকে মুক্তি দিল বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আজ, ১০ চাকরি-প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ বহু কাঠঘর পুড়িয়ে চাকরি-প্রার্থীদের মুক্ত করাতে নামেন বাম যব নেতা শতরূপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী৷ শুক্রবার কমিশনে সামনে বিক্ষোভ

অবশেষে ১০ চাকরিপ্রার্থীকে মুক্তি দিল পুলিশ

কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি রাজা নন্দী সহ ১০ চাকরি-প্রার্থীকে মুক্তি দিল বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আজ, ১০ চাকরি-প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ৷ বহু কাঠঘর পুড়িয়ে চাকরি-প্রার্থীদের মুক্ত করাতে নামেন বাম যব নেতা শতরূপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী৷

শুক্রবার কমিশনে সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে চাকরি-প্রার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ওঠে৷ মারতে মারতে বিধাননগর থানায় তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের৷ এদিনের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও চাকরি-প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত ক্ষোভ তৈরি হয়৷ অবিলম্বে ধৃতদের মুক্তি দেওয়ারও দাবি উঠেতে থাকে৷ পরে, বহু আলোচনা, তদবিরের পর চাকরি-প্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ৷ কিন্তু, নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করতে যাওয়া চাকরি-প্রার্থীদের উপর পুলিশি তাণ্ডবের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷

উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আচার্য সদনের সামনে বিক্ষোভে বসেন কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী৷ গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ৷ পরে, পুলিশ পৌঁছে চাকরিপ্রার্থীদের বাসে তুলে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যপ্ত ছেড়ে দিয়ে আসে৷ পরে, শুক্রবার একই দাবিতে ফের আচার্য সদনে বিক্ষোভ দেখাতে যান বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী৷ অভিযোগ, তাঁদের মারধর করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এদিনের এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ ও নিয়োগ সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী৷ চিঠিতে সুজনবাবু লেখেন, ‘‘এটা গভীর পরিতাপের যে, রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ টালবাহানা চলছে৷ চাকরি-প্রার্থী শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে বার বার৷ ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এক বছর পর ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করে৷ আরও দু’বছর পর ২০১৮ সালে চাকরি-প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ কিন্তু, তাঁদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি৷ গত ২১ জানুয়ারি, ২০১৯ এসএসসির চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমে জানান, ২৯ জানুয়ারি ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন শুরু হবে৷ কিন্তু, তা শুরু হয়নি৷ চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষুব্ধ৷ বস্তুত, তাঁদের চাকরি জীবনে বেশ কয়েকটি বছর কেড়ে নেওয়া হল, সরকারি নিয়োগ সংস্থার অপদার্থতায়৷ অথচ তাঁদের অন্দোলনের প্রতি সহানুভূতির পরিবর্তে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে হয়রানি ও নির্মম আক্রমণ চলানো হচ্ছে৷ সঙ্গত কারণেই গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিধাননগরে আচার্য সদনের সামনে তাঁরা আন্দোলনে বসেন৷ তাঁরা এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন৷ আমি আন্দোলনরত যুবকদের সঙ্গে দেখা করি৷ ওরা সত্যিই যন্ত্রণার মধ্যে আছে৷ রাজ্যের স্কুলগুলিতেও শিক্ষক গুরুতর অভাব রয়েছে৷ পরীক্ষা দিয়ে পাশ করার পরও কেবল মাত্র ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য তিন বছর সময় ব্যয় করার কোনও যুক্তি সংগত ব্যাখ্যা থাকতে পারে না৷ ওরা পরীক্ষা দিয়েছে৷ পাশ করেছে৷ ভেরিফিকেশনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে৷ অথচ তাঁর জন্য ইতিমধ্যেই এত দিন সময় অতিবাহিত হল কেন? কী রহস্য? এটা কারো পক্ষেই বোঝা সম্ভব নয়৷ ওদের দাবি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 5 =