কলকাতা: রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকদের সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি শিক্ষকরা স্কুল বয়কটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও, এতদিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণ তাদের জানাতেই হবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি৷
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পার্শ্বশিক্ষকদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের ফলে পার্শ্বশিক্ষকদের যেমন স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে তেমনই দীর্ঘ সময় ধরে পঠন পাঠনের কাজ ব্যাহত হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও ধৈর্য হারাচ্ছেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এনিয়ে চিঠিও পাঠাচ্ছেন তারা৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘যাদের কাছে দাবি রাখছেন তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন পার্শ্বশিক্ষকরা৷’’ রাজ্য সরকারকে অভিভাবক মনে করে তাদের এই আবেদন মেনে নেওয়া উচিত৷
আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন, একথা স্বীকার করে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী মঙ্গলবার এই আলোচনার বিষয়টি দেখবেন৷ বাম আমলে পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার যত সুবিধা দিচ্ছে ততই কেউ কেউ মনে করছেন যে এসব আন্দোলন করেই তাড়াতাড়ি দাবি আদায় করা যাবে৷ বর্তমান রাজ্য সরকার পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য যে সহানুভূতি দেখিয়েছে এবং তাদের প্রতি যে সুবিচার করেছে সে বিষয়ে আগের সরকার কোন কথাই বলতে রাজি ছিল না৷ যদিও এখন সেই দলেরই নেতৃত্বরাই রাস্তায় নেমে পার্শ্বশিক্ষকদের উস্কানি দিচ্ছে৷’’ বলে এদিন বাম নেতৃত্বদের কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷
এদিন পার্শ্ব শিক্ষকদের কাছে একটি প্রশ্নও করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ ‘‘কোন সরকারের এত সাহস হয়েছে যে তারা ৪০ থেকে ৪৫- ৫০ শতাংশ হারে পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি করেছে?’’ সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রী এদিন আরও একটি বিষয় কথা মনে করিয়ে দেন পার্শ্বশিক্ষকদের তিনি বলেন, পার্শ্ব শিক্ষক একটি প্রজেক্টের কাজ৷ গোটা রাজ্যে এইধরনের অন্তত সাড়ে চার হাজার প্রজেক্টে অন্তত দু থেকে আড়াই লক্ষ কর্মচারী আছেন, যাদের জন্য বিশাল পরিমাণ টাকা ঋণের বোঝা চেপেছে বর্তমান সরকারের ওপর৷ এদের বিষয়ে কোন চিন্তা ভাবনা না করেই ৬০ বছর কার্যকাল করে দিয়ে চলে গেছে বাম সরকার, বলেও উল্লেখ করেন৷’ কোনো প্রোজেক্টের কাজে বেতন কাঠামো হয় কি? সে বিষয়েও পার্শ্বশিক্ষকদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি৷