পুনে: শীত মানেই রান্নায় ধনে পাতা স্বাদ বাড়ায়। ঝালে ঝোলে ধনে পাতার মহিমা লা জবাব! অন্য সময়ে ধনে রান্নার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই ধনে চাষ পুনের এক কৃষকের জীবন বদলে দিয়েছে। তিনি এক সপ্তাহে লক্ষে লাভ করেন। কীভাবে?
পুনের পিম্পরি পেন্ধার গ্রামের বাসিন্দা নানা কুটে। এই বছর নিজের বাগানে ধনে চাষের জন্য ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সপ্তাহে তাঁর আয় ১৩.৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, আগে এরকম লাভ হত না। গত ২ বছর আমি টমেটো, শাক সবজি চাষ করেছি। বাজার দর কম হওয়ায় সেভাবে লাভ হত না। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে ধনে চাষ শুরু করি। ঘরে লক্ষ টাকায় লাভ।
চাষবাসের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার কথাও জানান তিনি। বিভিন্ন সময় উপযুক্ত বাজার দর পাওয়া যায় না। চষের জল সব মরসুমে সমান ভাবে পাওয়া যায় না। তবে ধনে চাষ তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। জানালেন এর দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। একসময় এক বান্ডিল ধনে পাতা বিক্রি হত ৫ থেকে ১০ টাকায়। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেইসঙ্গে কৃষিকে হাতিয়ার করে তাঁর জীবন এখন অন্যরকম।
এই মুহূর্তে সারা দেশে কৃষক সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ঋণ মুকুবের প্রবণতা বেড়েছে। এতে কোনো সমাধান মিলছে না। এই অবস্থায় এই ধরণের কৃষক সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।
কৃষক আত্মহত্যা, কৃষি বিক্ষোভ- দেশে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। এই নিয়ে নাজেহাল মোদী সরকার। এর প্রভাব পড়েছে ৫ রাজ্যের নির্বাচনেও। ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি ঋণ মুকুবের হিড়িক পড়ে গেছে। এতে আগামী দিনে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানী ও যোধপুরের সেন্ট্রাল এরিড জোন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর অধিকর্তা ওপি যাদব। তিনি মনে করেন, ঋণ মুকুবের যে হিড়িক শুরু হয়েছে, তাতে কৃষক আত্মহত্যার প্রবণতা কমবে না। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের কথা বিবেচনা করে এটা কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নয়। তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপের ফলে কৃষকের আয় ২০২২ সালের মধ্য়ে দ্বিগুণ হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাঁর মতো কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, কৃষির পরিকাঠামো উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্য দাম পান, তা নিশ্চিত করতে পারলেই কৃষক ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।