নয়াদিল্লি: শর্তসাপেক্ষে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের বা ইপিএফে পেনশন বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হতে চলেছে৷ শুধুমাত্র ১৫ হাজার টাকার নির্ধারিত মাসিক বেতনসীমার উপরেই নয়, যদি কোনও ইপিএফ গ্রাহক তাঁর মাসের মোট বেতনের উপর পেনশন খাতে কন্ট্রিবিউট করতে চেয়ে আবেদন করেন, তাহলে সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ সম্প্রতি এই মর্মেই সমস্ত আঞ্চলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা ইপিএফও৷
এই মুহূর্তে একজন ইপিএফ গ্রাহকের মাসিক বেতন নির্ধারিত সীমার থেকে বেশি হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি যদি এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা কর্মসূচির আওতায় থাকতে চান, তাহলেও তাঁর পেনশন খাতে কন্ট্রিবিউশন বর্ধিত বেতনের উপর হয় না৷ ফলে পেনশনের পরিমাণ বিশেষ বৃদ্ধি পায় না৷ এবার যদি মূল বেতনের উপর থেকে পেনশন অ্যাকাউন্টে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ থাকে, তাহলে স্বাভাবিক নিয়মেই অবসরগ্রহণের পর তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পেনশন পাবেন একজন ইপিএফ গ্রাহক৷
এই মুহূর্তে ইপিএফ পেনশনের সঠিক নিয়মটি কী? কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের যেসব সংস্থা অথবা প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম কর্মীসংখ্যা ২০ জন, সেই সংস্থাগুলি ইপিএফওর আওতায় থাকে। ওইসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের যে কর্মচারীদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের অধীনে থাকেন। প্রতি মাসে একজন ইপিএফ গ্রাহক তাঁর মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) ১২ শতাংশ অর্থ কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা দেন। ওই কর্মীর হয়ে তাঁর সংস্থা কর্তৃপক্ষ জমা দেয় আরও ১২ শতাংশ অর্থ। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ৩.৬৭ শতাংশ যায় কর্মীর ইপিএফ খাতে। বাকি ৮.৩৩ শতাংশ কন্ট্রিবিউশন জমা হয় তাঁর ইপিএফ পেনশন অ্যাকাউন্টে।