কলকাতা: ইংরেজিতে দুর্বল? ঠিকঠাক ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না? তাহলে সাবধান! ইংরেজি বলতে না পারার দায়ে চাকরি যাচ্ছে আয়কর দফতরের বেশ কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মীর৷ গোটা ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দফতরে৷
জানা গিয়েছে, হাওড়ার একটি ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে বেশ কিছু কর্মচারী নিয়োগ করে ইনকাম ট্যাক্স সেটেলমেন্ট কমিশন৷ নিয়োগের আগে কর্মচারীদের যোগ্যতা প্রমাণে নেওয়া হয় পরীক্ষা৷ লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউও নেওয়া হয়৷ স্টেনোগ্রাফার হিসেবে দেওয়া হয় নিয়োগ৷ দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার পর নিয়োগপত্র পান বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী৷ সবকিছু ঠিকাঠাক চলছি৷ কেউ চাকরি করছেন প্রায় বছর খানেক, কেউ বা তারও বেশি সময় ধরে নিজের পদে এতদিন করছিলেন কাজ৷ কিন্তু, এখন আচমকাই দফতরের মনে হয়েছে, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না৷ বলতে পারছেন না ইংরেজিতে কথা৷ অফিসে কাজের জন্য কম্পিউটার জ্ঞানও নাকি তাঁদের নেই৷ টাইপ স্পিডও কম৷ মূলত, এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে চাকরি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর৷
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ পরীক্ষার সময় কেন এই বিষয়গুলি আগাম যাচাই করা গেল না? লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ নেওয়ার সময় কেন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়নি? কর্মী বাছাইয়ের দায় কি কর্তৃপক্ষের নয়? যোগ্যতা না থাকলে কেন নিয়োগ করা হয়েছিল? নিয়োগের পর কেন যোগ্যতা নিয়ে তোলা হচ্ছে প্রশ্ন? চাকরি হারানোর মুখে পড়া কর্মচারীদের দাবি, এমন অভিযোগ শুনে তাঁরা তাজ্জব৷ যোগ্যতার যথাযথ প্রমাণ দিয়ে এখানে কাজ পাওয়ার পরও এখন নানান অভিযোগ তোলা হচ্ছে৷