দেশে বেড়েছে কর্মসংস্থান, আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি কেন্দ্রের

দেশে বেড়েছে কর্মসংস্থান, আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: বাজট অধিবেশনের শুরুতেই গোটা দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখালেন খোদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষে রাষ্ট্রপতি সওয়াল করলেও এই মুহূর্তে গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে দেশের বেকারত্ব৷ কিন্তু, সেই সমস্ত সমীক্ষা রিপোর্ট উড়িয়ে দেশের কর্মসংস্থানের নয়া রিপোর্ট পেশ করল কেন্দ্র৷

আজ কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে আর্থিত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ছয় বছরে সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বেড়েছে৷ যদিও ২০১৪ সাল থেকে মোদি সরকারকে অস্বস্তি বাড়িয়েছে দেশে লাফিয়ে বাড়তে থাকা বেকারত্ব সমস্যা৷ বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির আমলে নতুন কাজের সুযোগ না বাড়লেও কর্মহীন হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষ৷ বিরোধীদের এই অভিযোগের আবহে আজ সংসদে অর্থনীতির পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্র নরেন্দ্র মোদি সরকার৷

আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে কেন্দ্রের তরফে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, ছয় বছরে সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বেড়েছে ৫ শতাংশ৷ সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ২০১১-১২ সালের কর্মসংস্থান হয়েছে ১৮%৷ ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান বেড়েছে ২৩ শতাংশ৷  কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীদের একাংশ৷

কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ছয় বছরের সংঘটিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে ৫ শতাংশ৷ অথচ গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এনএসএসও’র রিপোর্টে বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ৩.১ শতাংশ দাঁড়িয়েছে৷ যা বিগত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ৷ ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার এই রিপোর্ট মেনে নেয়৷ 

সম্প্রতি অধ্যাপক মেহরোত্র পরিবারের গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মিলিয়ে ৬ বছরে ভারতে প্রায় ৯০ লক্ষ চাকরি কমেছে৷ জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিমাংশুর গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মিলিয়ে ভারতে ফি বছরে গড়ে ২৬ লক্ষ মানুষ চাকরি খুইয়েছেন৷ সিএমআইই সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বেকারত্বের হার বেড়ে ৭.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ ২০১৭ সালে মে ও আগস্টের পর বেকারত্বের হার ধাপে ধাপে ৭ বার বেড়েছে৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত বেকারত্বের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরও কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষা-রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *