নয়াদিল্লি: করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে তা আগে থেকেই আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল৷ রাষ্ট্রসংঘও এই বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল৷ সেই প্রভাব ইতিমধ্যে ভারতে পড়তে শুরু করেছে৷ ভারতে মার্চের এক সপ্তাহ লক ডাউনে বেকারত্বের সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে৷ ২.৮ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে৷ যা দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের বলে জানা গিয়েছে৷
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেষ৷ সেখানে জানা গিয়েছে, শুধু মার্চের লকডাউনের জেরে কর্মসংস্থান হার নেমেছে ৩৮.২ শতাংশ৷ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশে শ্রমবণ্টনের হার মার্চ মাসে ৪১.৯ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৪২.৬ শতাংশ। তার মানে লকডাউনের আগে থেকে শ্রমবণ্টনের হার কমতে শুরু করেছিল। বেকারত্বের এই পরিসংখ্যান গত ৪৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
করোনায় জেরে পর্যটন বিভাগ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ মূলত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকরা আসেন৷ কিন্তু করোনার প্রভাবে জানুয়ারি থেকেই বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে৷ শুধু তাই নয়, মার্চ থেকে দেশের অভ্যন্তরে ঘুরতে যেতে ভয় পেচতে শুরু করেন নাগরিকরা৷ লকডাউনের জেরে পর্যটন বিভাগ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়৷ এরফলে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ পর্যটন বিভাগের কর্মীরা কয়েকদফা দাবি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে করেছে৷ তার মধ্যে অন্যতম কর্মীদের বেতন দিতে হবে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে৷
পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হতে শুরু করেছে৷ বিশ্বের পাশাপাশি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে একাধিক রাজ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে৷ ১১ ও ১২ এপ্রিল একটি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে৷ রাজনাথ সিং মন্ত্রিসভার বৈঠকের জানিয়েছেনস লকডাউন নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷