নয়াদিল্লি: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলা। কমছে বেকারত্বের সমস্যা। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। কেরালাকে পিছনে ফেলে ১ জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ৫.২ শতাংশ, যা গত নভেম্বর মাসে ছিল ১১.২ শতাংশ। রাজ্য সরকারের মতে, ডিসেম্বর মাসে রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্য বেকারত্বের হারে ব্যাপক উন্নতি করেছে বাংলা।
গত বছর সারা দেশের মতো এ রাজ্যেরও বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এপ্রিল ২০২০-তে তখন করোনা আবহে দেশে বেকারত্বের হার ছিল সর্বাধিক ২৩.৫ শতাংশ, তখন বাংলাতেও বেকারত্বের হার ছুঁয়েছিল ১৭.৪ শতাংশ। তারপর অবশ্য ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে সব। ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ। ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে দেশে বেকারত্বের হার ৬.৪ শতাংশ। পাশাপাশি, এগিয়েছে বাংলাও। কর্মসংস্থানে পিছনে ফেলে দিয়েছে ত্রিপুরা, বিহার ও ঝাড়খন্ডকে। এমনকি বাংলার কাছে হার মেনেছে শিক্ষার হারে দেশের মধ্যে সর্বাধিক কেরালাও।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গেরচালু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রকল্পে চারটি ধাপে রাজ্যের মানুষের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখনও রাজ্যবাসীর জন্য অনেক প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য নিয়ে আসছে তারা। একমাসে বেকারত্বের হারে এই উন্নয়ন তারই প্রতিফলন হিসেবে মনে করছে সরকার।
বাংলার বেকারত্বের হার যেখানে ৫.২ শতাংশ, সেখানে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা কর্মসংস্থানে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৮.১ শতাংশ। বিহারে সেই হার ১০.৫ শতাংশ এবং ঝাড়খন্ডে ১১.৩ শতাংশ। এদিকে, কেরালা দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য হলেও কর্মসংস্থানের তারা বাংলার থেকে পিছিয়ে। কেরালার বেকারত্বের হার ৫.৫ শতাংশ। দেশের মধ্যে সর্বাধিক বেকারত্বের হার জম্মু-কাশ্মীরের, ২১.৯ শতাংশ।