নয়াদিল্লি: আর কষ্ট করে একই সংস্থায় ৫ বছর চাকরি করতে হবে না৷ ৫ বছরের পরিবর্তে ১ বছর চাকরি করলে মিলতে পারে মোটা টাকার গ্র্যাচুইটি৷ কোনও সংস্থায় এক বছরে চাকরি করলে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হতে পারেন চাকরিজীবীরা৷ বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার সময়সীমা ৫ বছর থেকে ১ বছর করার প্রস্তাব দিল শ্রমমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি৷
কোড অব সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০১৯ রিপোর্টের ভিত্তিতে শ্রমমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি অর্থ ও কর্মিবর্গ মন্ত্রকের কাছে গ্র্যাচুইটির সময়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে৷ সেইমতো আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে ছাঁটাই ও বেতন সমস্যা মেটাতে এই ব্যবস্থা বলে মনে করছে কেন্দ্র৷
চলতি ব্যবস্থা অনুযায়ী একটানা ৫ বছর কর্মরত থাকার পর কোনও সংস্থার কর্মীরা গ্র্যাচুইটির অধিকারী হন৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর আছে৷ ১৫ দিনের বেতন ও একজন কর্মী যত বছর কর্মরত, তার গুণিতক হারে গ্র্যাচুইটির হিসেব করা হয়৷ তবে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার সময়সীমা কমিয়ে ২ কিংবা ৩ বছর করতে পারে কেন্দ্র৷
গত ৩১ জুলাই সংসদীয় কমিটির পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গ্র্যাচুইটি পাওয়ার ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিধি কার্যকর থাকায় বিভিন্ন সেক্টরে কর্মীদের মেয়াদ শেষের আগেই মালিকপক্ষের বহু বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয়৷ কেননা, ওই কর্মী যদি মালিকের রোষে পড়ে কাজ ছেড়ে দেন, তাহলে সংস্থাকে ওই গ্র্যাচুইটি দিতে হয় না৷ তাতে লাভবান হয় সংস্থা৷ দীর্ঘ দিন ধরে পরিশ্রমের মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন বেশিরভাগ কর্মী৷ সেই সমস্যা যাতে মেটানো যায়, তা নিশ্চিত করতে বছর কমিয়ে মালিক ও কর্মচারী উভয় পক্ষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে কেন্দ্র৷