কলকাতা: করোনা মোকাবিলার জন্য গোটা দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। তৃতীয় দফার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৭ মে পর্যন্ত চালু থাকবে এই নিয়ম। তবে গোটা দেশে এভাবে আচমকা লকডাউন জারির ফলে সমস্যার মুখে পড়বেন সাধারণ মানুষ। এমনকী, বহু মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, এই জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কর্মীদের সবেতন ছুটি বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজ করার সুবিধা দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও কর্মীছাঁটাইয়ের অভিযোগে নাম জড়িয়েছে জল পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা কেন্টের। এবার অভিযোগকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন সিটু। এই সমস্যার সম্মুখীন কর্মীদের যোগাযোগ করার আবেদনও জানিয়েছে তারা।
জল পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা কেন্টকে শ্রমিক যোগান দেয় ম্যানপাওয়ার গ্রুপ সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার প্রায় ৩০০-র বেশি কর্মী কেন্টের কলকাতা টেরিটরিতে কর্মরত বলে জানিয়েছে সিটু। ওই সংস্থার বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, ম্যানপাওয়ার গ্রুপ সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাটির এইচআর কেন্টের কর্মীদের ফোন করে জানায় যে, তাঁদের কাজ আর থাকবে না। সবাই যাতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন, সেই নির্দেশও দেয় তারা। কর্মীদের এমনও বলা হয়, কেউ যদি পদত্যাগ পত্র দিতে অস্বীকার করেন, তাহলে তাঁদের এমনভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনও সংস্থায় কাজ পেতে না পারে। তাছাড়া যাঁরা পদত্যাগ পত্র দেবেন না, তাঁরা এপ্রিল মাসের বেতনও পাবেন না। যদিও এই বিষয়ে কেন্ট আরও সিস্টেম লিমিটেড সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এই বিষয়ে কিছু জানেন বলেই উল্লেখ করেছে।
শ্রমিক সংগঠন সিটু’ নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, 'সব সংস্থাই কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকার কথা জানে। ২০০৫ সালের ডিজাস্টার্স ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল তারা। সংস্থাগুলি জানে, তারা বরখাস্ত করলে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হবে, সেই কারণেই কর্মীদের বাধ্য করছে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে।' আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সিটু রাজ্য কমিটি ইতিমধ্যেই লেবার কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যে সমস্ত কর্মীরা এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছেন, তাঁদের যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছে তারা। কর্মীদের যাতে অন্যায়ভাবে ছাঁটাই করা না হয়, তার জন্য পাশে থাকবে শ্রমিক সংগঠন সিটু, এমনই অঙ্গীকার করেছে তারা।