শ্রীনগর: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যোগ দেওয়ার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা জেলার গানতামুল্লা সেনা শিবিরে দু’হাজারের বেশি কাশ্মীরি যুবক হাজির হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, উত্তর কাশ্মীরের থেকেই বেশি যুবক এই সেনা শিবিরে এসেছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন জওয়ান শহিদ হওয়ার পর এত বেশি সংখ্যায় কাশ্মীরি যুবকদের শিবিরে যোগ দিতে আসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে,
কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে জঙ্গি হানায় নিহত দুই সিআরপিএফ জওয়ানের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে বেরনোর পথে সাংবাদিকদের এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ওই দুই পরিবারের কেউ চাকরি করতে চাইলে রাজ্য সরকার সেই ব্যবস্থাও করে দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়ার নিহত জওয়ান বাবলু সাঁতরার ভাই কল্যাণ সাঁতরা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আর্থিক দিকে কিছুটা সুরাহা হলেও পরিবারে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। সকলের দেখা উচিত, আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরায় সিআরপিএফের কনভয়ের উপর জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন জওয়ান নিহত হন। তার মধ্যে এ রাজ্যের দুই বীর জওয়ান রয়েছেন। তাঁরা হলেন, হাওড়া জেলার বাবলু সাঁতরা ও নদীয়া জেলার সুদীপ বিশ্বাস।
সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই দুই পরিবারের পাশে আছে রাজ্য সরকার৷ এদিন তাঁদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মমতা৷ এদিনই বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীও নিহত জওয়ানদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন৷