কলকাতা: দেখা নেই ডিএর৷ বাড়ছে না বেতন৷ এখনও ঝুলে ষষ্ঠ বেতন কমিশন৷ তার সময়সীমা আরও সাত মাস বেড়েছে৷ দীর্ঘ দিনের বেতন বঞ্চনা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী মহলে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে অসন্তোষ৷ আর সেই অসন্তোষ এবার প্রভাব ফেলল ইভিএমে৷ পোস্টাল ব্যালট গণনায় দেখা গিয়েছে বিজেপির দখলে গিয়েছে ৩৯টি আসন৷ নির্বাচন কমিশনের এই তথ্য দেখে মাথায় হাত শাসক শিবিরে৷ পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে তৃণমূল ভবনে শিক্ষক সংগঠনগুলিকে বৈঠক ডাকেন শিক্ষামন্ত্রী৷ বৈঠক শুরু হতেই শাসকপন্থী শিক্ষকদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় খোদ শিক্ষামন্ত্রীকেও৷
লোকসভা ভোটে রাজ্যের শিক্ষকদের ভোট তৃণমূলের পক্ষ্যে না যাওয়ায় বৈঠক থেকে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল দেখে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন পার্থ৷ শিক্ষকদের নাগালে আনতে একাধিক বার্তাও দেন৷ শিক্ষকদের কাছে এবার উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ারও বার্তা দেন পার্থ৷ শিক্ষামন্ত্রীর এই নির্দেশ শুনে একাধিক প্রশ্নও তোলেন শাসকপন্থী নেতারা৷
সূত্রের খবর, শাসকপন্থী শিক্ষকদের একাংশ বৈঠকে বসেই জানিয়ে দেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা পিআরটি স্কেল পাচ্ছেন না৷ কেন্দ্রীয় হারে বেতনের দাবিতে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ পথে নেমেছে৷ যতদিন তাঁদের এই দেওয়া পূর্ণ না হচ্ছে, বকেয়া ডিএ না মিটছে ততদিন শিক্ষকদের মধ্যে সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব কাটিয়ে ওটা যাবে না৷ সূত্রের খবর, শিক্ষক নেতাদের মুখে এহেন প্রশ্ন শুনে পিআরটি স্কেল চালুর কথা পার্থবাবুও স্বীকার করে নেন৷ তবে, এর সঙ্গে বিপুল অঙ্কের অর্থের বোঝা থাকায় তাঁর একার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি৷ শিক্ষকদের ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে সরকার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বলেও আশ্বাস দেন পার্থ৷