নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর জেরে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে মন্দা তৈরি হয়েছিল, তার চেয়েও ভয়াবহ হতে চলেছে বর্তমান সমস্যা, এমনই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল। বিশ্ব বাজারের এই বেহাল দশার প্রভাব পড়বে বেসরকারি সংস্থাগুলির ওপর। এই পরিস্থিতিতে এইচআরদের কী করণীয়? গত অর্থনৈতিক মন্দা থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কতটা কার্যকরী এই মহামারীর পরিস্থিতিতে?
বিশ্ব অর্থনীতির ডামাডোল অবস্থায় বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপের বাধ্যবাধকতার সম্মুখীন হয় সংস্থাগুলি। গত বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা অর্থাৎ ২০০৮-২০০৯ অর্থবর্ষেও তৈরি হয়েছিল এমন সমস্যা। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়াভা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, গতবারের তুলনায় আরও ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি। এর অবশ্য কারণ হিসেবে দু'টি বিষয় তুলে ধরেছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, কোভিড ১৯ ভাইরাস সরাসরি মানবসম্পদের ওপর আক্রমণ করছে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব তো পড়বেই, তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকেও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন করবে। এই পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা বা সেভিংসই যথেষ্ট নয় লড়াই করার জন্য।
সমস্যা তার তুলনায় অনেক বেশি জটিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে এইচআর-দের ভূমিকা বিশেষ। কারণ, ম্যানপাওয়ারকে সঠিক কাজে লাগানোর দায়িত্ব তাঁদের ওপর থাকে। রিসেশনের পর নতুন করে আবার শুরু করার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলি সাধারণত প্রযুক্তি ও অটোমেশনে বিনিয়োগ করে। এই বিষয়েও সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন এইচআরদের। তাছাড়া বড় সংস্থাগুলি এমন কর্মীদেরই সন্ধান করে, যাঁরা গত রিসেশনের পরিস্থিতিতেও লড়াই করার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে মানবিক সম্পর্ক স্থাপন করা দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।