‘আহারে বাংলা, অনাহারে শিক্ষা’! খাদ্য মেলায় থালা হাতে শিক্ষকদের ধর্না

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ খোলা আকাশের নীচে, রাজপথে আগলে দিন-রাত এক করে পড়ে রয়েছেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ৯ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ৫ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জোটেনি

‘আহারে বাংলা, অনাহারে শিক্ষা’! খাদ্য মেলায় থালা হাতে শিক্ষকদের ধর্না

কলকাতা: চূড়ান্ত অচলাবস্থা৷ একদিকে শীতের কামড়, মাথার উপর শিশির, অন্যদিকে লাগামছাড়া মশার দাপট৷ খোলা আকাশের নীচে, রাজপথে আগলে দিন-রাত এক করে পড়ে রয়েছেন বাংলার কয়েক হাজার শিক্ষক৷ একাধিক প্রতিকূলতাকে জয় করে টানা এক ৯ দিন ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ এই নিয়ে ৫ দিনে পড়ল শিক্ষকদের অনশন৷ কিন্তু অনশনে জোটেনি অ্যাম্বুলেন্স, পানীয় জল, শৌচালয়৷ বিকাশ ভবন চত্বরে যখন ভুখা পেটে রয়েছেন শিক্ষকরা, ঠিক তখন অনশন মঞ্চ লাগোয়া রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হল ‘আহারে বাংলা’ উৎসব৷ উৎসব শুরু হতেই থালা হাতে ‘আহারে বাংলা’র প্রবেশ পথে ধর্না শিক্ষকদের৷

আজ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের তরফে বাংলায় আবার বিশ্বের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে৷ আহারে বাংলায় এবার বঙ্গীয় খাদ্য উৎসব ২০১৯-এর উদ্বোধন হয় আজ সন্ধ্যা ছ’টায়৷ আগামী ২০নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিধান নগর মেলা প্রাঙ্গণে এই উৎসব চলবে বলে৷ আজ সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন হতে না হতেই থালা হাতে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকরা৷ ‘আহারে বাংলা, অনাহারে শিক্ষা’ এই স্লোগান তুলে চলতে থাকে বিক্ষোভ৷ রাজ্য সরকারের এই বঙ্গীয় খাদ্য উৎসবে বিশাল আয়োজনের পাশেই শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি তুঙ্গে বিতর্ক৷

যদিও, পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন-ধর্না কর্মসূচির জন্য রাজ্যের এই খাদ্য উৎসবে প্রভাব পড়তে পারে, এই মর্মে আজ হাইকোর্টে আর্জি জানানো হয় রাজ্যের তরফে৷ কিন্তু, হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তির কাছে পার্শ্ব শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে৷ শিক্ষকরা তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারেন৷ তবে পুলিশকে এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে৷ প্রাণী বিকাশ উন্নয়ন দপ্তরের আহারে বাংলার অনুষ্ঠানের জন্য সেন্ট্রাল পার্কে প্রবেশ পথ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷ তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশ কোনভাবেই বল প্রয়োগ না৷ আদালতের এই বার্তার পর আজ সন্ধ্যায় ফের ভাতের লড়াইয়ে সামিল শিক্ষকরা৷

অনশনরত পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, শিক্ষকরা যখন তাঁদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রাস্তায় বসে অনশন করছেন, তখন রাজ্য সরকারের এই ভুরিভোজের আয়োজন সত্যিই বাংলার ‘উন্নয়ন বৈষম্য’কে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে৷ রাজ্যের এই আয়োজনের বিরুদ্ধে এবার অনশন মঞ্চ থেকেই নতুন করে বিদ্রোহের ডাক দিতে শুরু করেছেন পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 4 =