১৮-র হার না মানা ১০ ভারতীয় নারীর জয়ের কাহিনী

শাম্মী হুদা: দেখতে দেখতে অস্তাচলে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের আরও একটি বছর। ২০১৯, অতীত লাখো ঘটনা। সেখানে প্রিয়জন বিয়োগের ব্যথা থেকে শুরু করে নতুন কোনও প্রাপ্তি বা আধুনিক ভারতের নয়া রূপকারদের গল্পও। মহিলারাই তো সবসময় উপজীব্য বিষয়ের অন্যতমা হয়ে থাকেন, চলুন না এমন কোনও গল্প শোনাই যা মহিলারাই শুরু করেছেন শত বাধা টপকে। তারপর নিরলস

১৮-র হার না মানা ১০ ভারতীয় নারীর জয়ের কাহিনী

শাম্মী হুদা: দেখতে দেখতে অস্তাচলে একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের আরও একটি বছর। ২০১৯, অতীত লাখো ঘটনা। সেখানে প্রিয়জন বিয়োগের ব্যথা থেকে শুরু করে নতুন কোনও প্রাপ্তি বা আধুনিক ভারতের নয়া রূপকারদের গল্পও। মহিলারাই তো সবসময় উপজীব্য বিষয়ের অন্যতমা হয়ে থাকেন, চলুন না এমন কোনও গল্প শোনাই যা মহিলারাই শুরু করেছেন শত বাধা টপকে।

তারপর নিরলস প্রয়াসে ছিনিয়ে নিয়েছেনপুরুষতান্ত্রিক সমাজের সম্মান। আজ এমনই দশ রূপকারের কথা বলব যাঁরা আর পাঁচ জন মহিলার মতো শুধু মৌনব্রত ধারণ করে বাঁচতে শেখেননি। সমাজের তখাকথিত বাধা, বিদ্রুপকে হেলায় হারিয়ে পারিবারিক বিধি নিয়মের তোয়াক্কা না করে শুধু মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। তাঁদের চোখ দিয়েই নতুন সকাল দেখার সুযোগ পেয়েছে উপাদেশের নারী সমাজ। উনিশের সকাল না হয় তাঁদের নামেই উতসর্গ করলাম, ক্ষতি কি।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

প্রথমেই আসি মায়া বিশ্বকর্মার কথায়। বছর ৩৮এর মায়া একজন ক্যানসার গবেষক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লিউকোমিয়া নিয়ে গবেষণারত।যদিও এখন আর চাকরি করেন না।বিদেশি সংস্থার যাবতীয় স্বাচ্ছন্দ ছেড়ে এসে নিজের মতো করে লড়াই করে চলেছেন। শুধুমাত্র বৃহত্তর ভারতের মহিলাদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে। মালা মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলার এক জনমজুরের পরিবারের মেয়ে। শৈশব থেকেই নানা বাধা পেরিয়ে তাঁকে এই জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে। প্রাকৃতিক নিয়মে ক্লাস নাইনে পড়ার সময়তিনি ঋতুমতি হন। কিন্তু তখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন শব্দটাই তাঁর কাছে অজানা ছিল। তাঁর পরিবারের তরফে তাঁকে ঋতুবর্জ্য ত্যাগের জন্য কাপড়ের টুকরো দেওয়া হয়েছিল। দিনের পর দিন যা ব্যবহার করে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

নানারকম শারীরিক সমস্যাও তৈরি হয়। বিভিন্ন আর্থিক সামাজিক বাধাকে অগ্রাহ্য করে পড়াশোনা চালিয়েগেলেন মায়া। একদিন ডক্টরেট সম্পূর্ণ করলেন, তারপর লিউকোমিয়া নিয়ে গবেষমা করতে প্রথমে দিল্লির এইমসে পরে চলেগেলেন আমেরিকা। দুবছর আগে সেই সুখের চাকরিল ছেড়ে দিলেন এক বোধোদয়ে। মায়া ২৬ বছর বয়সে প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিলেন। মেনস্ট্রুয়াল সমস্যায় মহিলাদের সুস্থ রাখতেই তাঁর গবেষণা অথচ ভারতের বেশিরভাগ মহিলাই এখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারেন না। এরপরই চাকরি ছেড়েদিয়ে সুকর্মা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন। তাঁর সংস্থাই প্রত্যন্ত ভারতের মহিলাদের কাছে স্বল্পমূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিচ্ছে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতার পাঠও দেওয়া হচ্ছে। দুবছর হয়ে গেল সংস্থার বয়স, এখনও তিনি মনে করেন কিছু কাজই করে উটতে পারেননি। মেনস্ট্রুয়ালের মতো শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া নিয়ে সমাজে যা ছুঁতমার্গ বাসা বেঁধেছে তা দূর করতে এখনও দীর্ঘ পথ চলতে হবে।

এবার আসি ডক্টর রুক্মিনী রাওয়ের কথায়।যিনি চেয়েছিলেন প্রত্যেকটি মহিলার মুখে যেন প্রতিবাদ জানানোর ভাষা থাকে। তাই নিজের পেশার পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার সচেতনতা বৃদ্ধি করেছেন। একইসঙ্গে বিবাহিত মহিলাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও উঠেপড়ে লাগেন তিনি। শুরু হয় নতুন প্রকল্প। মহিলাদের পারিবারিক অত্যাচার থেকে বাঁচাতে সহেলি নামের এক সংস্থা তৈরি করেন ১৯৮১-তে। এই সংস্থার মূল কাজ ছিল, বিবাহিত মহিলাদের আর্থিক,সামাজিক ও আইনি সহায়তা দেওয়া। একা একা কাজ শুরু করলেও পরে সম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে পেয়ে যান ডক্টর রাও। মূল লড়াইচাই ছিল পণ প্রথার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখনও লড়ছেন তিনি। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় ২০০৭ সালে সংসদে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট পাস হয়ে যায়।

var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);

দরিদ্র মানুষদের জন্যও চিকিতসা সহায়তা দিতে গোটা জীবনই জনকল্যাণে দান করে দিয়েছেন ডক্টর রানি বাং। অনেক বছর আগে এক জমিহীন শ্রমিক বিধবার সন্তান হারানোর যন্ত্রণা ডক্টর বাংকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। ওই বিধবা তার শিশুপুত্রকে তিনি রানি বাংয়ের কাছে ছুটে এলেছিলেন চিকিতসার জন্য। নিউমোনিয়া ও গ্যাসের যন্ত্রণায় তখন আধমরা সেই একরত্তি। ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এর দুদিন পরে জানতে পারেন শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে রাগ কান্না একসঙ্গে পেলেও তিনি উপলব্ধি করেন।বৃহত্তর ভারতের বেশিরভাগ জানে না রোগ হলে কীভাবে প্রাথমিক চিকিতসা করতে হবে। কিম্বা কীভাবে একটা সাধারণ রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।সেই সচেতনাতাই তাদের নেই। এরপরেই স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে কাজে লেগে পড়েন ডক্টর রানি বাং। শুরু হয় নিরলস প্রচেষ্টা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুয়ের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করে ওষুধ সংস্থার নীতিনির্ধারণকেই বদলে ফেলার পরামর্শ দেন ওবাং দম্পতি। এই মহান কাজের জন্য পদ্মশ্রীও পয়েছেন।তবে যেদিন সমগ্র ভারত সচেতনভাবে রোগ নিরাময়ে ব্রতী হবে, সেদিনই সাফল্যের মুখ দেখবেন রানি বাং।

চেতনা সিনহা গ্রামের মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা দিতে ব্যাংক তৈরি করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। পুণে শহর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের মহাসোয়াদ নামের এক জেলা শহরে। তাঁর ব্যাংকের নাম মনদেশি ব্যাংক। মূলত গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই এই কাজ শুরু করেন চেতনা। রীতিমতো ইএমআই ভরে একলপ্তে পাঁচহাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারেন গ্রাহকরা। ন্যূনতম ইএমআই ১৫ টাকা। মাত্র ছলাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যাংক শুরু করেছিলেন চেতনা সিনহা। এখন তাঁর গ্রাহকের সংখ্যাই তিন লাখ। দিনে অন্তত ১৫ হাজার মহিলা তাঁর ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন ও জমা দেন। ২০২২ সালের মধ্যে এই মনদেশি ব্যাংক নিজস্ব অগ্রগতির স্বাক্ষর রাখবে, এমনটাই আশা করেন তিনি।

৩৩ বছরের সোনাল কাপুর রাজধানীর বুকে মহিলাদের রক্ষা করে চলেছেন। নিজে একজন কৃতি ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিত্ব। একদিন কাজের প্রয়োজনেই বস্তি এলাকায় যেতে হয়েছিল।সেখানে দেখেন এক৩৬ বছরের সন্তানসম্ভবা মহিলার সঙ্গে সাতটি শিশুকন্যা। তার মধ্যে বছর সাতেকের মেয়েটি ঠিকমতোহাঁটে বা বসতে পারে না। জিজ্ঞাসা করে জানতেপারেন নিকটবর্তী পতিতালয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ওই শিশু তারপর থেকেই এই অবস্থা। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন সোনাল। সেদিন থেকেই শিশুপাচার রোধে কাজ করে চলেছেন তিনি। তাঁর সংস্থা এখনও পর্যন্ত ১৯০০০ শিশুকে পাচার হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে।
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক সন্ধ্যা মেননের নাম প্রায় সকলেই জানেন,সৌজন্য #MeToo । মিস মেনন এই #MeToo ক্যামপেন চালু করেন। নিজেও কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন,তবু মুখ খোলেননি। কিন্তু তনুশ্রী দত্ত যখন অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনলেন তখন আর মুখ বন্ধ করে থাকেননি এই সাংবাদিক। জানান, ভাগ্যিস মুখ খুলেছিলেন তা না হলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নামী ব্যক্তিত্বদের কুকীর্তি চিরদিন অন্তরালেই চাপা পড়ে থাকত। সামাজিক সম্মান বাঁচাত মহিলারা দিনের পর দিন এই অত্যাচার মেনে নিতেন।

রেড ইজ দ্য নিউ গ্রিন এই ভারতীয় উপমহাদেশে এই উপলব্ধি নিয়ে এসেছেন দিয়ানে দি মেনেজেস নামের এই তন্বী। মহিলাদের ঋতুমতি সংক্রান্ত সামাজিক ছুঁতমার্গ দূর করতে নিরন্তর লড়াই করে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের রানির কাছ থেকেও পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তাঁর কাজের জন্য। তাঁর সংস্থা দেশ জুড়ে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মেনস্ট্রুয়াল সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঋতুমতি হওয়া মানে কোনও পাপ বা অচ্ছুত কাজ নয়, এটি ঘামের মতোই এক শারীরিক প্রক্রিয়া তা বোঝানোর কাজ করে চলেছেন তিনি।

ভিজি পেনকুট্টু কেরালার মহিলাদের কাছে এক আলোকবর্তিকার নাম। এই সমাজকর্মীর সুদীর্ঘ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন কেরালার মহিলারা। কেরালার কোনও শপিং মলের মহিলা কর্মীদের জন্য শৌচালয় ছিল না। তাঁদের একদণ্ড বসার অনুমতিও ছিল না। বার বার আবেদন নিবেদন করেও মালিকপক্ষ মহিলা কর্মীদের কথা শোনেননি। একসময় বাধ্য হয়েই সমাজকর্মী ভিজির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন। ভিজে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শপিংমল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পবৈঠক করে ভোজাতে গিয়ে বেকুব বনে যান।তাঁকেই উল্টে তিরস্কার করে মালিকপক্ষ, বলে মহিলারা কম জল খাক তাহলে বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। নাহলে ক্যাথিটার বা ডায়াপার ব্যবহার করুক। এই কথায় তীব্র রেগে যান ভিজি শুরু হয় তাঁর আন্দোলন, রাজ্য প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে আট বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় কেরল সরকারকে নতুন আইন প্রণয়নে বাধ্য করেন। ভিজি পেনকুট্টু। গোটা রাজ্যের সমস্ত শপিংমল বাজারে সেলস গার্লদের জন্য শৌচালয় তৈরি হয়।

আধুনিকা প্রকাশ যখন প্রথম সন্তানের জন্ম দেন তখন চেয়েছিলেন মা বা মায়ের মতো কেউ তাঁর পাশে থাকুক। কিন্তু আয়ার্ল্যান্ডে তিনি কাউকেই পাননি। সেদেশের মহিলারা শেষ মুহূর্তে তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে এলেও কোনও লাভ হয়নি।দুদেশের সংস্কৃতিতে এতটাই ফারাক রয়েছে যে সেসব মানতে পারেননি আধুনিকা। তাঁর মা ফোন করে যা বলতেন নিজেই তা করার চেষ্টা করতেন তিনি। এই ঘটনার পর ফেসবুকে ভারতীয় মহিলাদের সন্তান পালন ও ব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে পরামর্শ গ্রুপ তৈরি করেন। প্রবাসী ভারতীয় মহিলারা তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই গ্রুপে যোগ দেন। ইংল্যান্ড,আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মিলিয়ে ৮২ হাজার মহিলা এই মুহূর্তে সেই গ্রুপের সদস্য। ফেসবুক এজন্য তাঁকে ১লক্ষল ডলার দিয়ে সম্মানও জানিয়েছে।

লহু কা লগান, এই নাম এখন সবার জানা। তবে এই নামের পিছনে তৈরি সংস্থা সি সেজ ও তার প্রতিষ্ঠাতা তৃষা শেট্টিকে কজন জানেন। বছর একুশের এই তরুণীই সমাজকে জোর ধাক্কা দিয়েছেন। ২০১৪-তে যখন তিনি প্রথম জানতে পারেন স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরেও রয়েছে কর। তখন থেকে সেই কর তুলে নেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন তিনি। ২০১৭-তে জিএসটি চালু হলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপরে কর ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই দেখে আর থেমে থাকেননি তৃষা,সি সেজ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গঠন করে সরাসরি আন্দোলনে নামেন। তারই ফল স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে কর উঠে যাওয়া। বছর শেষের এই দিনটিতে তৃষার জন্য রইল অকুণ্ঠ ভালবাসা।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =