প্রতিবন্ধকতাকে ডোন্ট কেয়ার, তিনি এখন ডিজিটাল গুরু! কীভাবে জানেন?

আজ বিকেল: জন্মের সময় লেখা হয়েছে ভাগ্য বিড়ম্বনা। প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে নিয়ে জন্মেও তাঁকে নস্যাৎ করে এগিয়ে যাওয়াই দৃষ্টান্ত। সমস্যা নিয়ে জন্মেছেন, কিন্তু সেটাকে কখনই পরিচিতি করে তোলেননি। তাঁর পরিচয় তিনি ডিজিটাল গুরু, নাম শঙ্কর চন্দ্রশেখর। বাড়ি কর্ণাটকের বেলারিতে। বয়স মাত্র ২৯। জন্মের সময় থেকে তিনি দৃষ্টিহীন। হাতও সচলভাবে নাড়াতে পারেন না। একটি সফটওয়্যার ফার্মে অ্যাক্সেসিবিলিটি

প্রতিবন্ধকতাকে ডোন্ট কেয়ার, তিনি এখন ডিজিটাল গুরু! কীভাবে জানেন?

আজ বিকেল: জন্মের সময় লেখা হয়েছে ভাগ্য বিড়ম্বনা। প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে নিয়ে জন্মেও তাঁকে নস্যাৎ করে এগিয়ে যাওয়াই দৃষ্টান্ত। সমস্যা নিয়ে জন্মেছেন, কিন্তু সেটাকে কখনই পরিচিতি করে তোলেননি। তাঁর পরিচয় তিনি ডিজিটাল গুরু, নাম শঙ্কর চন্দ্রশেখর। বাড়ি কর্ণাটকের বেলারিতে।

বয়স মাত্র ২৯। জন্মের সময় থেকে তিনি দৃষ্টিহীন। হাতও সচলভাবে নাড়াতে পারেন না। একটি সফটওয়্যার ফার্মে অ্যাক্সেসিবিলিটি টেস্টার হিসেবে কাজ করেন। তিনি নয়ডায় কাজের সূত্রে একাই থাকেই, একাই ২টো ফুটিয়ে খান। অবসর পেলে অন্যান্য দৃষ্টিহীনদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

প্রতিবন্ধকতাকে ডোন্ট কেয়ার, তিনি এখন ডিজিটাল গুরু! কীভাবে জানেন?প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলে তিনি প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট আয়ত্ত করেছেন। মৃদু হেসে বলেন, ইন্টারনেট সবার জন্য জরুরি। আমার মতে দৃষ্টিহীনদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি করে প্রয়োজন। আমি ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছি। তিনি অনুভব করেছেন, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জীবন বদলে দিতে পারে প্রযুক্তি। শঙ্কর ঠিক করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাঁর মতো দৃষ্টিহীনদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

শঙ্করের ইউটিউব চ্যানেলের নাম টিচ অ্যাক্সেসিবিলিটি টিউটোরিয়ালস। পথ চলা শুরু করেছে ২০১৬ সালে। বর্তমানে এর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৩৬০০।  বেঙ্গালুরুর রামন মহাঋষি অ্যাকাডেমিতে তাঁর শঙ্করের প্রশিক্ষণের শুরু। ক্লাস ১০-এর পর তিনি দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ শিক্ষায় ডিপ্লোমা করেন। এরপর এনেবল ইন্ডিয়ায় আইসিটি ট্রেনিং।

এরপর নিজের জায়গায় ফিরে এসে চিরঞ্জীবীর সাহচর্য লাভ। তিনি তাঁকে একটা ল্যাপটপ দেন। তাই দিয়ে শুরু নতুন করে বাঁচার মানে খোঁজা। শুরু কম্পিউটারে বিভিন্ন কোড ব্যবহার করে অনলাইন প্রশিক্ষণ নেওয়া। তিনি বিশেষভাবে সক্ষম ব্য়ক্তিদের জন্য ভাতা পেতে থাকেন, তাই দিয়ে মাসে ইন্টারনেট কানেকশন নেন।

প্রতিবন্ধকতাকে ডোন্ট কেয়ার, তিনি এখন ডিজিটাল গুরু! কীভাবে জানেন?ভবিষ্যতে শঙ্করের লক্ষ্য হল ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারে চাকরি। বিশেষ ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে দৃষ্টিহীনদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান শঙ্কর। লড়াইয়ের নাম শঙ্কর। এ লড়াই থামার নয়। পথ নির্দেশ করার লড়াই।

দৃষ্টিহীনদের কীভাবে কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় করে তোলা যায়, তাও বলেন শঙ্কর। তাঁর কথায়, ভেঙে পড়বেন না। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। প্রতিটি সেকেন্ডের অভিজ্ঞতা পাথেয় করে এগিয়ে যেতে হবে। প্রত্যাশা করবেন না, কেউ এগিয়ে এসে আপনাকে শেখাবে, পাশে দাঁড়াবে। অনুকম্পা নয়, সহানুভূতি হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রেরণার নাম শঙ্কর। তিনি এমন পদক্ষেপ করেছেন নিজের জীবনে যা অন্য কারো ক্ষেত্রেও বাঁচার প্রেরণা হতে পারে। যাঁরা বিনিয়োগ করে আয় বাড়ানোর কথা ভাবেন, তাঁরা শঙ্করের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ বা একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট বিনিয়োগ করে সম্পদ তৈরি করা সম্ভব। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হওয়া যায়, এভাবে। অন্যান্য আর্থিক প্রকল্পও আছে দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 12 =