শিলিগুড়ি: স্থায়ী করণ ও নূন্যতম বেতন পরিকাঠামোর দাবি উত্তরকন্যায় বিক্ষোভ দেয়েছিলেন গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারী সমিতি৷ কিন্তু, পুলিশি মার খেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছিল শিক্ষকদের৷ কিন্তু, পুলিশের মার খেয়েও থেমে থাকেননি শিক্ষকরা৷ নিজেদের দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন বৃত্তিমূলক শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারীদের একাংশ৷
তাঁদের দাবি, পার্টটাইম প্রথা তুলে দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো তৈরি করুক রাজ্য সরকার৷ চুক্তিভিত্তিক প্রথা তুলে শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো তৈরি, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের পদ গঠন, ছ’মাসের স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণের কোর্সগুলির মানোন্নয়ন করে এক বছরের কোর্সে রূপান্তর করা৷ শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের প্রভিডেন্টফান্ড, ছুটি ও অবসরকালীন সুযোগ দেওয়া৷ শিক্ষক ও প্রশিক্ষক নিয়োগ চালু করা৷ এবার এই দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের চালিয়ে যাওয়ারও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
বর্তমান সরকার আসার পরেই ২ হাজার ৮০০ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ধাঁচে রাজ্যভিত্তিক নিয়োগ সংস্থা ও আইন প্রণয়ন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি৷ আট বছর কেটে গেলেও নিয়োগ তো দূর বেতন সমস্যা সহ শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে একাধিক প্রতিষ্ঠান৷ স্কুলে শিক্ষকের অভাবে ছাত্রভর্তি তলানিতে৷ বৃত্তিমূলক শিক্ষার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এক একটি স্কুলে ৪০-৪৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়ত, সেখানে এখন পড়ছে ১০ জনের কম৷ চার বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার বৃত্তিমূলক শাখায় পাঠ্যক্রমের আমূল বদল করা হলেও সেই বিষয় পড়ানোর শিক্ষক নেই৷ সরকার বদলে ৪ জন মন্ত্রী পরিবর্তন হয়ে গেলেও অবস্থার হেরফের হয়নি৷ বদলায়নি বেতন কাঠামো৷